9:59 AM, 13 November, 2025

খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জাতিসংঘ ‘পক্ষাঘাতগ্রস্ত’

agnes_kalamard

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ভিন্ন মতাবলম্বী এই সাংবাদিকের প্রতি ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ পক্ষাঘাতগ্রস্তের মত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যাগনেস ক্যালামার্ড।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ দূত অ্যাগনেস ক্যালামার্ড যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, ‘ খাশোগি হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার অর্থ হলো এমন কিছু নিশ্চিত করা যা যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক এই অপরাধের ক্ষেত্রে অনৈতিক কোন কিছু করতে না পারে। ’

২০২০ সালের নভেম্বর মাসে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সৌদিদের প্রতি চাপ প্রয়োগ করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানান জাতিসংঘের বিশেষ দূত।

তিনি জানান, রাষ্ট্র কর্তৃক খাশোগির হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বিয়ের কাগজপত্র সংগ্রহ করার জন্য ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় এবং তার দেহ খন্ড খন্ড করা হয়।

ক্যালামার্ড উল্লেখ করেন, পশ্চিমা কিছু দেশ খাশোগি হত্যার জন্য কতিপয় সৌদি এজেন্টদের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা ভালো উদ্যোগ। একইসঙ্গে এধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে সৌদিদের যুক্তিও মেনে নেয়া হচ্ছে। কেন না সৌদি সরকারও বিশেষ এই এজেন্টদের উপরই দোষ চাপিয়ে দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা থেকে দায়মুক্ত হতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘ সুতরাং এটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ যে যা কিছু করতে হবে তা সৌদি রাষ্ট্রের সঙ্গেই করতে হবে এই ১৫ অথবা ১৭ জনের বিরুদ্ধে নয়। ’

অ্যাগনেস ক্যালামার্ড সৌদি আরবে নজরদারি প্রযুক্তি প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সৌদি সরকারের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, তাদের বিশ্বাস করা যায় না। ’ প্রসঙ্গত, সৌদি সরকার ইসরায়েলে তৈরি নজরদারি প্রযুক্তি দিয়েই জামাল খাশোগির গতিবিধির উপর নজর রাখতো বলে জানা গেছে।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত জানান, খাশোগির মরদেহ এখনো উদ্ধার করা যায়নি অথচ সৌদি সরকার এই বিষয়ে একদম নীরবতা অবলম্বন করে আছে। এছাড়া জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনে সৌদি এই সাংবাদিক হত্যায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলেও বিশ্ব নেতারা এই ব্যাপারে কোন উচ্চবাচ্চও করছেন না। বরং সম্প্রতি শেষ হওয়া জি-২০ সম্মেলনে যুবরাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলাপ করতেও দেখা গেছে তাদের কাউকে।