5:22 AM, 13 November, 2025

রাস্তায় নামাজ বন্ধে বিজেপির হনুমান চালিশা

untitled-1_4697

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ জুমার নামাজে মুসল্লির সংখ্যা অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি হয়। তাই ওই মুহূর্তে মসজিদে জায়গা না হলে মানুষ রাস্তায় নামাজ পড়তে দাঁড়িয়ে পড়েন। তবে এ বিষয়টা মেনে নিতে পারছে না বিজেপি কর্মীরা।

শুক্রবার সড়কে নামাজের বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বিজেপি যুব মোর্চা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় এর খবরে বলা হয়, নামাজের পাল্টা হিসেবে মঙ্গলবার সড়ক আটকে হনুমান চালিশা পাঠের আয়োজন করে তারা। এদিন বালিখালে বজরংবলি মন্দিরের সামনে শখানেক বিজেপি কর্মী রাস্তায় বসে হনুমান চালিশা পাঠ করেন।

বিজেপি যুব মোর্চার হাওড়া জেলা সভাপতি ওমপ্রকাশ সিং বলেন, ‘যতদিন না রাস্তা আটকে নামাজ পড়া বন্ধ হবে, ততদিন আমরাও রাস্তা আটকে হনুমান চালিশা পড়ব।’

গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, রাস্তা আটকে আমজনতাকে দুর্ভোগে ফেলার অধিকার কারো নেই। ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে চাইলে তা বাড়িতে করাই ভালো। রাস্তা আটকে মানুষকে বিপদে ফেলা উচিত নয়।

ওমপ্রকাশ সিং বলেন, ‘ধর্মীয় আচার-আচরণ পালনের জায়গা হলো মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার বা চার্চ। কিন্তু এই বাংলায় যখন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এসেছে, তখন থেকে বাংলার সংস্কৃতি পুরোপুরি নষ্ট হতে বসেছে। দিদি আসার পর প্রত্যেক শুক্রবার জিটি রোড বন্ধ করে একটি সম্প্রদায়ের মানুষ নামাজ পড়ছে। এর প্রতিবাদে এদিন প্রতীকী আন্দোলন হিসেবে জিটি রোড বন্ধ করে বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে পাঁচবার হনুমান চালিশা পাঠ করা হয়। ভবিষ্যতে সড়কে নামাজ পড়া বন্ধ না হলে, প্রত্যেক মঙ্গলবার জেলার সমস্ত হনুমান মন্দিরের সামনে সড়ক বন্ধ করে হনুমান চালিশা পাঠ করা হবে।’

এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস হাওড়া জেলার (সদর) সভাপতি তথা সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘আমরা এই নামাজ জন্মের আগে থেকে দেখে আসছি। এর সঙ্গে অযথাই তৃণমূলকে জড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপি এসব করে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাইছে।’