ভারতের রাজধানী উত্তর–পূর্ব দিল্লির আরো তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গোকুলপুরীর নর্দমা থেকে একটি ও ভাগীরথী খাল থেকে দুটি মৃত দেহ উদ্ধার হয়। এতে করে দিল্লির সাম্প্রদায়িক হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৬। তবে উদ্ধার হওয়া দেহগুলোর পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

১ মার্চ, রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ প্রথম দেহটি উদ্ধার করা হয়। অপর দেহটি উদ্ধার হয় বিকেল তিনটার দিকে। এমন খবর প্রকাশ করে ভারতের সংবাদমাধ্যম আজকাল।

এর আগে আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার দেহও উদ্ধার হয়েছিল নর্দমা থেকে। তার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, নৃশংসভাবে ৪০০ বার কোপ মারা হয়েছিল তাকে। তার মৃত্যু ঘিরে তৈরি গোটা দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

বিগত চারদিনের সংঘর্ষে দিল্লিতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০০ জন। দায়ের করা হয়েছে ১৬৭টি এফআইআর। আটক করা হয়েছে ৮৮৫ জনকে। উত্তর–পূর্ব দিল্লির বেশ কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও শাহিনবাগ এলাকার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও ১৪৪ ধারা চলছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।

দিল্লি পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হিন্দু সেনা ১ মার্চের মধ্যে শাহিনবাগ খালি করে দেয়ার ডাক দিয়েছিল। তবে পুলিশ এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করায়, শনিবারই তারা তাদের বিক্ষোভ কর্মসুচি প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছে।

তিনি আরো জানান, এরপরও কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয় দিল্লি পুলিশ। আগাম সতর্কতা নিতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে শাহিনবাগকে।