ইন্দোনেশিয়ায় পরকীয়বিরোধী আইন প্রণেতাই পরকীয়ায় ধরা পড়ে ভোগ করলেন শাস্তি। দেশটির আচেহ প্রদেশে এমন ঘটনা ঘটে। মুখলিস বিন মোহাম্মদ (৪৬) নামের ওই আইন প্রণেতা পরকীয়বিরোধী ওই আইনটির খসড়া তৈরি করতে আচেহ ওলামা কাউন্সিলকে (এমপিইউ) সহযোগিতা করেছিলেন।
৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার মুখলিস বিন মোহাম্মদকে ২৮ বার এবং তার সঙ্গে ‘সম্পর্কিত’ নারীকে ২৩ বেত্রাঘাত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি এমন খবর প্রকাশ করেছে।
বেত্রাঘাতের শাস্তি পাওয়া মুখলিস বিন মোহাম্মদ সেই এমপিইউ’র একজন ইসলামি মুফতি। তিনি আচেহ প্রদেশের বেসার জেলায় থাকেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে একটি পর্যটন উপকূলের পার্ক করা গাড়ি থেকে এক বিবাহিত নারীসহ তাকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে বেসারের ডেপুটি মেয়র হুসাইনি ওয়াহাব বলেন, ‘এটা আল্লাহর আইন। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাকে বেত্রাঘাত করতে হবে, সে ওলামা কাউন্সিলের সদস্য হলেও।’ মুখলিসকে এমপিইউ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
খবরে বলা হয়, শরিয়া আইন চালুর পর সেখানে এই প্রথমবার কোনো মুফতি প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের শাস্তি পেলেন। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ২০০৫ সাল থেকে চালু রয়েছে শরিয়া আইন। বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের পাশাপাশি সমকামিতা ও জুয়ার শাস্তিও সেখানে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত। সরকারকে এই আইন কার্যকর করতে পরামর্শ এবং আইনি খসড়া করতে সহায়তা দেয় এমপিইউ।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম