8:29 AM, 26 March, 2024

৩ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ৪ জন চিকিৎসক

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারির পদ শূন্য থাকায় স্বাস্থ্য সেবাদান ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মানুষ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপর নির্ভরশীল। এছাড়া পার্শ্ববর্তী সাঘাটা ও সদর উপজেলার আরও অন্ততঃ ৫টি ইউনিয়নের মানুষ এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। চরা ল বেষ্টিত এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষেরা হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পেতে ব্যর্থ হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোঃ রফিকুজ্জামান বললেন , ১২ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স ব্যতীত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জনবলের সংকট রয়েছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবাদান ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি মাননীয় ডেপুটি ¯িপকার মহোদয় এর সভাপতিত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিংয়ে স¤প্রতি এ বিষয় আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জনবল চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
চরা ল বেষ্টিত অনগ্রসর এ উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অতিদ্রæত ৫০ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ প্রদানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম. সেলিম পারভেজ তিনি বলেন, হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও এখনও জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি।

অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১১ সালে ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নতি হলেও এখনও জনবল বহাল রয়েছে ৩১ শয্যার। কিন্তু সেই জনবলও নেই। হাসপাতালটিতে ৯ জন চিকিৎসকের স্থলে মাত্র ৪ জন এখন কর্মরত। আবাসিক মেডিকেল অফিসার সহ ৫ জন জুনিয়ার কনসালট্যান্টের মধ্যে গাইনী ও অবস, মেডিসিন, সার্জারি ও এনেসথেসিয়া কনসালটেন্টের পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন হলো ডেন্টাল সার্জন ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) পদ দুটি ফাঁকা রয়েছে। এখানে ডেলিভারিসহ মাতৃস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে ৪ জন মিড ওয়াইফের মধ্যে ৩ জন নিয়মিত কাজ করছেন। অপরজন গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ডেপুটেশনে রয়েছেন। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন না থাকায় বাইরে থেকে বেশী পয়সা ব্যয় করে রোগীদের তা করতে হয়।

বর্তমানে হাসপাতালের ক্যাশিয়ার, পরিসংখ্যান, ফার্মাসিস্ট এবং স্টোর কিপারের পদ শূন্য রয়েছে। এখানে নার্সের ১৪ টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১২ জন। অফিস সহকারী ৪ টি পদের মধ্যে ১ জন, নিরাপত্তা প্রহরী ২ টি পদের মধ্যে ১ জন, বাবুর্চি ২ টি পদের মধ্যে ১ জন এবং ৫ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীর মধ্যে মাত্র একজন এখন কর্মরত। ফলে হাসপাতালটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকছে না। স্টাফ অভাবে হাসপাতাল পরিচালনায় সমস্যা চলছে।