মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে চাচি ও ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, করোনাভাইরাসে তাদের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হোক। তাদের এমন দাবিতে এখন লৌহজংয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে।
জানা যায়, গতকাল রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে লৌহজংয়ের জসলদিয়া গ্রামের মীর সোহেলের ছেলে মীর আব্দুর রহমান (৩) হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়। এর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায় সে। এর আগে একইদিন সকাল ৮টার দিকে একইভাবে মারা যান শিশু আব্দুর রহমানের চাচি শামীমা বেগম (৩৪)। মৃত শামীমা বেগম ওই গ্রামের মীর জুয়েলের স্ত্রী।
শামীমার দেবর মীর শিবলু জানান, তার ভাবী রবিবার সকালে শরীরে জ্বর অনুভব করছিলেন। কিছুক্ষণের ভেতর জ্বর কিছুটা বাড়ে। একই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে চাক চাক রক্তের দাগ সদৃশ কিছু দৃশ্যমান হয়। এর মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মারা যান তিনি। এরপর রাতে তার ভাই মীর সোহেলের ছেলে আব্দুর রহমান (৩) একইভাবে শরীরে জ্বর জ্বরভাব দেখা যায়। এর মাত্র ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মারা যায় সে। তার শরীরেও রক্তের চাক চাক দাগ দেখা যায়। বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জানানো হয়েছে।
লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। সেখানে একজন স্বাস্থ্য সহকারীকে পাঠানো হয়েছে। তিনি এসে রিপোর্ট দিলে সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে এটি করোনা ভাইরাস কি না। এরপর সিভিল সার্জনসহ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে।
লৌহজং উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মু. রাশেদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সকালে জেনেছি। নিহতদের বাড়ির পথে রয়েছি। এরমধ্যে সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম