পঞ্চগড়ে কার্তিকেই শীত ভাব

হিমালয়কন্যা খ্যাত পঞ্চগড়ে সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝি, অর্থাৎ পৌষের শুরুতে শীত পড়া শুরু করে। কিন্তু এ বছর কার্তিকেই চলে এসেছে শীতের আমেজ। গত দু’দিন ধরে সাগরে লঘু চাপের কারণে পুরো আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। মাঝে মাঝে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার সর্বত্রই শীতকে বরণ করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে অনেকে শীতবস্ত্র বের করে রোদে মেলে দিচ্ছেন। গায়েও চাপিয়েছেন কেউ কেউ।
জেলায় বিকেলের পর থেকেই ছড়িয়ে পড়ছে কুয়াশার আবেশ। আর রাতে বইছে হিমেল হাওয়া। শীতের প্রস্তুতি নিতে লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন এ অঞ্চলের মানুষ। শহরের শীতের কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভিড় বাড়ছে। কুয়াশার কারণে ভোর বেলায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করছে।
লঘু চাপ কমে গেলে শীতের দাপট বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে পঞ্চগড়ে ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দিনই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ে।
জেলা শহরের ডোকরোপাড়া এলাকার গৃহিনী নাজমা রহমান জানান, লেপ-কাঁথা বের করা হয়েছে। রাতে কাঁথা নিতে হচ্ছে। গভীর রাতে শিশির পড়ছে, কুয়াশাও পড়ছে।
পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের প্রধান গোলাম কিবরিয়া মুকুল জানান, পঞ্চগড়ে ক্রমশ তাপমাত্রা কমছে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হওয়ায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকছে এবং মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। এই বায়ু বন্ধ হলে হিমালয়ের হিম শীতল বায়ু প্রবাহিত হতে শুরু করবে। আর তখনই শীতের প্রকোপ বেড়ে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হানিফ জানান, এই সময়ে হালকা বৃষ্টি হয়। এটা কোন সমস্যা নয়। তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হলে শীতকালীন শাকসবজি চাষাবাদ দেরি হয়ে যাবে। তবে অন্যান্য ফল ও ফসলের কোন ক্ষতি হবে না।
