11:04 AM, 29 March, 2024

গোলাপগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট : দাম বেশি মনে করছেন ক্রেতারা

মোঃ রুবেল আহমদ, গোলাপগঞ্জ থেকে:

মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল আজহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গোলাপগঞ্জ উপজেলা জুড়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলার সর্ববৃহৎ পশুর হাট গোলাপগঞ্জ সরকারী এমসি একাডেমী স্কুল ও কলেজ মাঠে পুরোদমে জমে উঠেছে। এছাড়াও উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌঘরী বাজার, বাঘা ইউনিয়নের পরগনা বাজার, খালোপর বাজার, ঢাকাদক্ষিন ইউনিয়নের ঢাকাদক্ষিন বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসতে শুরু করছে পশুর হাটগুলো। হাটগুলো ক্রেতাদের পদ চারণায় সরগরম থাকলেও দাম সাধ্যের বাইরে থাকায় অনেক ক্রেতাই দাম কমার অপেক্ষা করছেন।
সরেজমিন গোলাপগঞ্জ সরকারী এমসি একাডেমী স্কুল ও কলেজ মাঠে পশুর হাটে ঘুরে কথা হয় ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে। দেখা যায়, সম্পূর্ণ হাট ছিল গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন পশুতে পরিপূর্ণ। তবে দাম বেশি থাকায় মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় দাম একটু বেশি। অনেক ক্রেতাদের কোরবানির পশু না কিনে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে। বাজারে দাম বেশি থাকায় অনেক বিক্রেতাকে ও তাদের আমদানিকৃত গরু বিক্রি না করে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি মনে করছেন এ হাটে আসা ক্রেতারা। ঈদ যত কাছে আসছে পশুর হাটের ভিড় ও আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে। শেষ মুহুর্তে আরো বেশি ভিড় বাড়বে এবং রাতব্যাপী পর্যন্ত বেচা কেনা চলবে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও গরুর বাজার কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে বাজারগুলোতে জাল টাকা শনাক্তকরণে কোনো যন্ত্র না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
উপজেলার শেরপুর গ্রামের ক্রেতা ছাদিকুর রহমান জানান, দেশীয় গরু কিনতে বাজারে এসেছি, বাজারে দাম খুব বেশি তাই কোরবানির গরু কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। আগামী বাজারে দাম কমতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
উপজেলার ছত্রিশ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হক পশু বিক্রি করতে এসেছেন এ হাটে। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, অনেকেই আসছেন কিন্তু দেখে দেখে চলে যাচ্ছেন। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন গরুর দাম বেশি। তাই কোরবানির পশু না কিনে চলে যাচ্ছেন। যার ফলে আমরা আশানুরূপ বিক্রি না করতে পারায় সেগুলো নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। একটি গরু ৮০ হাজার টাকা দাম চাইলে ও ক্রেতারা ৫০/৬০ হাজার টাকা দাম করেছেন। তাই বিক্রি করতে পারিনি। তবে ঈদের আগের বাজার আরো অনেক ভালো হবে বলে আশা করছি।
গরু বিক্রি করতে আসা ইয়াহইয়া আহমদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে গরু লালন-পালন করেছি লাভের আশায়, যদি ভারতীয় গরু বাজারে না আসে তাহলে আমাদের দেশীয় গরু গুলো ন্যায্য মূল্য পাবো বলে আশাবাদী।
এদিকে, ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আরো একধাপ এগিয়ে জমে উঠেছে পশুর হাট। অনেকেই স্মার্ট ফোনে ফোর-জি, থ্রি জি নেটওয়ার্কের আওতায় ইমো, স্কাইপিসহ বিভিন্ন অ্যাপ এর মাধ্যমে ভিডিও কলে বিদেশে ও বাড়িতে থাকা লোকজনকে গরু দেখাচ্ছেন এবং তারা ভিডিও কলে গরু দেখে দেখে পছন্দ করছেন কোনটা কিনবেন। এ ছাড়াও অনেকেই গরুর ছবি তুলে হোয়াটস আপের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের শেয়ার করছেন।
গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল আহাদ বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও নির্বিঘেœ ক্রেতা বিক্রেতারা পশু ক্রয় বিক্রয় করছেন। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।