বাঁচার আকুতি জানানো নাজমার লাশ দেশে

স্বজনদের কাছে বাঁচার আকুতি জানানো প্রবাসী শ্রমিক নাজমার লাশ সৌদি আরব থেকে দেশে এসেছে। নিহত হওয়ার ৫৩ দিন পর নাজমার লাশ দেশে আসলো। ২ সেপ্টেম্বর নির্যাতনের ফলে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে টেলিফোনে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে স্বজনদের কাছে বাঁচার আকুতি করেছিলেন বলে জানান নিহত নাজমা পরিবার।
২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার লাশ এসে পৌঁছায়। ওই রাতেই স্বজনরা নাজমার মরদেহ মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।
ফোনে নিহত নাজমা বলেন, ‘আমি এই জায়গায় মরে যামু (যাবো)। আমি আর কুলাতে পারছি না। আমি মরে গেলে তো আমার পোলা-মাইয়ার চেহারাও দেখতে পামু (পাবো) না। আল্লাহ আমি এখন কি করমু (করবো)?’
নাজমা আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে দেশে ফেরার শতচেষ্টা করেন। কিন্তু দালালের হাত-পায়ে ধরেও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারেনি দরিদ্র পরিবারটি। এমনকি সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে নাজমার মরদেহ পড়ে থাকলেও দেশে আনতে পারছিলেন না তারা।
এ বিষয়ে ২ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশনে একটি প্রতিবেদন প্রচার হলে স্থানীয় প্রশাসন লাশ আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হন। নানা প্রক্রিয়া শেষে প্রায় ৫৩ দিন পর নাজমার মরদেহ দেশে ফিরল।
জানা যায়, মানিকগঞ্জের গৃহবধূ নাজমা ১১ মাস আগে স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। হাসপাতালে ক্লিনারের চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে পাঠানো হলেও কাজ দেয়া হয় বাসাবাড়িতে। সেখানে তাকে যৌন নির্যাতনসহ নানাভাবে নির্যাতন করা হতো।
