বুয়েটের শেরে বাংলা হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে মেধাবী ছাত্র আবরার হোসেন ফাহাদকে। তিনি পড়ালেখা ছাড়া আর কিছুই বুঝতেন না বলে জানিয়েছেন একই প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থী। এছাড়া ফাহাদ বেশ কয়েকবার তাবলীগেও গিয়েছিলেন। যদিও তাকে হত্যা করা হয়েছে ‘শিবির’ সন্দেহে।
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান বলেন, ‘আমি তাবলীগ জামায়াতের কর্মী। নিহত আবরার ফাহাদ আমার সঙ্গে কয়েকবার তাবলীগ জামাতে গিয়েছে। সে খুব ভদ্র ছেলে এবং মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। পড়ালেখা ছাড়া আর কিছুই বুঝতো না।’
আববার বাংলাদেশ ও কাশ্মীরে ভারতের নানা আধিপত্যবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সরব ছিলেন। গত ৫ অক্টোবর, শনিবার তিনি সর্বশেষ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এতে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের মধ্যেকার কয়েকটি বৈষম্য তুলে ধরেন। তার শেষ স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হলো :
‘১. ৪৭-এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।
২. কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চায় না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড় লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।
৩. কয়েক বছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তর ভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে, অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে, সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।
হয়তো এ সুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-
‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।’
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম