বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে আবারো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর। সেই সাথে গত কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানও পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন।

গতকাল ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন।

সভাপতি পদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মৌসুমীকে ১০২ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা। আর সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরাকে ২১৬ ভোটের বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন জায়েদ খান।  এছাড়া মিশা-জায়েদ প্যানেলের সবাই বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন।

সহ-সভাপতির পদে নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল (৩১১ ভোট) ও রুবেল (২৯৩ ভোট)। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান (২৮১ ভোট), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সুব্রত, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক ইমন (২৪৭ ভোট), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জাকির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে ফরহাদ নির্বাচিত হয়েছেন। অবশ্য সুব্রত, জ্যাকি আলমগীর এবং ফরহাদ আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

কার্যকরি পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছিলেন ১৪ জন। এর মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী ও মারুফ।

দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে মিশা শওদাগর বলেন, ‘সবার দোয়া ও ভালোবাসায় আবারো জয়ী হতে পেরেছি। চলচ্চিত্রের সব শিল্পী, কলাকুশলীসহ এফডিসির সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন আমার প্রথম কাজ হবে ইশেতেহারে যা যা বলেছিলাম তার বাস্তবায়ন ঘটানো।  শিল্পীদের সবাইকে নিয়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করে যাব। গতবার আমাদের যে কাজগুলো করা হয়নি সেগুলো এবার পূরণ করব।'

আর সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পীরা যাতে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করব। সবার কাছে দোয়া চাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘শিল্পীরা কেউ হারেনি। আমরা আগামীতে যেন বিগত বছরের কাজের গতিটা ধরে রাখতে পারি সবার কাছে এই দোয়াই চাই। শিল্পী সমিতির সব ভোটারদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের প্যানেলকে ভালোবেসে ও বিশ্বাস করে আবারও ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন। এবার আমাদের উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার পালা।’

২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনে বিএফডিসি শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে সকাল ৯টা ৭ মিনিটে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। বিকাল ৫টা ২৬ মিনিটে শেষ হয় ভোট গ্রহণ। এবার ২১টি পদের বিপরীতে ২৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সমিতির মোট ভোটার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে ভোট প্রদান করেন ৩৮৬ জন ভোটার। যা মোট ভোটের ৮৬ শতাংশ।