যে সরকারি চাকরি সোনার হরিণের মত, সেই চাকরির তিনটি পদ দখল করেছিলেন একজন ব্যক্তি। একসঙ্গে তিনটি সরকারি চাকরি করতেন সুরেশ রাম নামের এক ভারতীয়। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদন থেকে এমন বিস্ময়কর তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুরেশ রাম নামের ওই ব্যক্তি একই সঙ্গে নির্মাণ দপ্তর, জলবণ্টন দপ্তর এবং বাঁধ মেরামতি দপ্তরে কাজ করতেন।
বিহারের কিশোরগঞ্জে নির্মাণ দপ্তরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বাঁকা জেলার বেলহার ব্লকে করতেন জলবণ্টন দপ্তরের কাজ। তৃতীয় চাকরি সুপাউলে বাঁধ মেরামতির।
সুরেশ ১৯৮৮ সালে প্রথম পাটনায় সরকারি দপ্তর নির্মাণ বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করেন। সেখানে কাজ করতে করতেই তার হাতে আসে আরো একটি চিঠি। ১৯৮৯ সালে জলসম্পদ দপ্তরের চাকরিও পেয়ে যান তিনি। আর তার কিছুদিনের মধ্যেই বাঁধ মেরামতির কাজের জন্যও ডাক পেয়ে যান। এই দুটি চাকরির জন্য আগে পরীক্ষা দিয়ে রেখেছিলেন।
সুরেশ ধরা পড়েন গত জুলাই মাসে। দেশটির কম্প্রিহেনসিভ ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কারণেই আটকে যান তিনি।
গত বছরে বিহার সরকার এই কম্প্রিহেনসিভ ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা CMFS প্রথা চালু করে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় আর্থিক কারচুপি ধরতেই মূলত এই উদ্যোগ।
জুলাইয়ের শুরুতে কিশোরগঞ্জ নির্মাণ দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি সুরেশ রামকে তার চাকরির সব কাগজ জমা দিতে বলেন। তাতেই সামনে আসে কারচুপি। মামলা হওয়ার পর তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম