3:39 PM, 13 November, 2025

সাদুল্যাপুরে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রাক্তন স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা, প্রাক্তন স্বামী আটক

index

আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা সদরে কাঁচা বাজার সংলগ্ন কাচারি পট্টিতে আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রাক্তন স্ত্রী রাশেদা খাতুনকে (৩৫) প্রকাশ্যে দিবালোকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা অভিযোগে আবদুর রহিম মিয়া ওরফে কাজল চন্দ্র সাহা (৪৫) নামে এক যুবককে পুলিশ আটক করেছে। গুরুতর আহত রাশেদা খাতুন বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনা ঘটিয়ে পালানোর সময় রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে আবদুর রহিম মিয়া ওরফে কাজল চন্দ্র সাহাকে পুলিশ আটক করে। আহত রাশেদা খাতুন উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের হামিন্দপুর গ্রামের মৃত.আশরাফ আলীর মেয়ে ও ঘাতক আবদুর রহিম মিয়া ওরফে কাজলের প্রাক্তন স্ত্রী। ঘাতক আবদুর রহিম মিয়া ওরফে কাজল চন্দ্র সাহা একই উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জয়েনপুর সাহাপাড়ার গোপাল চন্দ্র সাহার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বামী পরিত্যাক্তা রাশেদা সাদুল্লাপুর বাজারের দর্জির কাজ করেন। একই বাজারে আবদুর রহিম মিয়া ওরফে কাজল চন্দ্র সাহা ফলের ব্যবসা করেন। বাজারে দু’জনের দোকান পাশাপাশি। এ সুবাদে প্রায় বছর দুই আগে তারা পরস্পর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। এক পর্যায়ে কাজল চন্দ্র সাহা সনাতন হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন এবং তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
সুত্রটি আরো জানায়, দাম্পত্য কলহের জের ধরে সম্প্রতি রাশেদা খাতুন তার স্বামী আবদুর রহিম মিয়া ওরফে কাজল চন্দ্র সাহাকে ডিভোর্স দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিক শালিস বৈঠক হয়। কিন্তু তাদের দুইজনের দ্ব›দ্ব নিরসন করা সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় শনিবার সাদুল্যাপুর উপজেলা সদর কাঁচা বাজার সংলগ্ন কাসারি পট্টিতে রাশেদাকে একা পেয়ে হটাৎ তার পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় কাজল। এসময় আশপাশের দোকানদাররা রাশেদাকে গুরুতর আহত অবস্তায় উদ্ধার করে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে শনিবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার্ড করা হয়।
সাদুল্যাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাফিজার রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পালানোর সময় ঘাতক আবদুর রহিম মিয়া ওরফে কাজল চন্দ্র সাহাকে রংপুরের পীরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় পীরগঞ্জ থানা এলকা থেকে আটক করেছে। তবে এনিয়ে থানায় এখনও কোন মামলা দায়ের হয় নাই।