11:41 AM, 13 November, 2025

শার্শার রুদ্রপুর বাজারে প্রকাশ্যে হোটেলে হামলা, ভাংচুর  দোকানীকে কুপিয়ে জখম-আটক দু’সহোদর সন্ত্রাসী 

FB_IMG_1564039974553
শাহারিয়ার হুসাইন;   যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর বাজারেপ্রকাশ্যে  বোমা, পিস্তল ও হাসুয়া দা উঁচুিয়ে মহড়া দিয়ে
হোটেল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম (৪৫) ওরফে রফু ময়রার দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও রফু ময়রা কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মকভাবে জখম করেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বিল্লাল (৩০) ও জুলু(২৭) নামে দুজন বোমাবাজ।
এসময় তারা দুটি বোমা ছুড়লে বিস্ফোরিত না হওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় রফু ময়রা বলে জানিয়েছে জখম ও হামলার স্বীকার রফুর  পরিবার ও স্বজনরা।
বিল্লাল ও জুলু একই গ্রাম রুদ্রপুরের মৃত জেহের আলীর দুই ছেলে ও স্হানীয় মেম্বর হবিবর রহমানের লালিত সন্ত্রাসী ও পেটুয়া বাহিনী বলে জানিয়েছে রফুর পরিবার।
তারা আরোও  জানিয়েছে, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে এ বোমা হামলা ভাংচুর ও হাসুদা দিয়ে জুলু ও বিল্লাল প্রকাশ্যেে দিনের আলোয় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
রফু ময়রার ছেলে সাইফুল অভিযোগ করে বলেন,  বৃহঃস্পতিবার সকালে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী জুলু ও বিল্লাল আমার বাবার দোকানে গিয়ে কোন কারন ছাড়াই বোমা, পিস্তল,হাসুয়া দা দিয়ে ভাংচুর শুরু করে ও
বাবাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে। বাবার চিৎকারে আমি সহ বাজারের লোকজন মিলে তাদেরকে ঐসব অস্ত্র সহ হাতে নাতে ধরে ফেলি।এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বিল্লাল ও জুলুকে বোমা, হাসুয়া দা ও পিস্তল সহ স্হানীয় মেম্বর হবিবর  রহমানের জিম্মায় দিয়ে আসি।
এসময় মারাত্মক জখম হওয়া বাবাকে উদ্ধার করে নাভারন হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্হা করি।বর্তমানে আমার বাবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এর  কিছুক্ষণ পরে আমরা স্বজনরা মিলে
মেম্বরকে ওদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে ওরা তো পালিয়ে গেছে বলে মেম্বর বিষয়টি পুরোপুরি  এড়িয়ে যান।
পরবর্তীতে আমরা স্থানীয় লোকজন মিলে মাঠের ভিতর থেকে ২টি বোমা ও ১ হাসুয়া দা
সহ আবারও ধরে ফেলি এবং পুলিশে ফোন দিয়ে তাদের হাতে তুলে দিই।
প্রথমবার মেম্বর হবিবরের সহযোগিতায় তারা পালিয়ে যায়।কারন তারা মেম্বরের নিজস্ব পেটোয়া  বাহিনীর সদস্য  ও আশ্রিত সন্ত্রাসী বলে ছেড়ে দেয় এবং সেই সুযোগে তাদের কাছে থাকা পিস্তল টি সরিয়ে রেখেছে বলে  সাইফুল সহ স্বজনরা জানিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বর হবিবর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বাজারে গিয়ে দেখি হট্টগোল হচ্ছে। কিছু দূর গিয়ে দেখি রফু ময়রার শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে এবং বিল্লাল ও জুলুকে লোকজন ধরে আমার ক্লাবের দিকে নিয়ে আসছে। আমি তাদের ক্লাবে রেখে পাশে চা খেতে গেলে তারা কৌশলে পালিয়ে যায়। তারপর বাজারের স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদেরকে আবারো ধরে বোমা হাসুয়া দা সহ ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেই।পিস্তলের বিষয়টি আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই আব্দুর রহিম হাওলাদার বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিল্লাল ও জুলুকে আটক করতে সক্ষম হই।এসময়  তাদের কাছ থেকে ২টি তাজা বোমা ও ১ টি হাসুয়া দা উদ্ধার করি এবং উদ্ধার কৃত আলামত সহ আটক জুলু ও বিল্লাল কে শার্শা থানায় প্রেরন করি।
এব্যাপারে রফুর ছেলে সাইফুল বাদী হয়ে জুলু ও বিল্লালের নামে শার্শা থানায় একটি মামলা করেছে। যার নং= ৪৩ তারিখ= ২৫/৭/২০১৯