বরগুনা আমতলীতে নির্বাচনে ডিউটি দেবার নামে ঘুষ বাণিজ্য

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনা আমতলী উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার বশির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আগামী ২৫ জুলাই আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করার জন্য আনসার সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়েছে।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, অমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯টি ভোটকেন্দ্রের বাইরে দায়িত্ব পালনের জন্য অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রে ১২ জন আনসার সদস্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এদের মধ্যে একজনকে পিসি ও একজনকে এপিসি করা হয়। গ্রুপে ৪ জন নারী ও ৮ জন পুরুষ আনসার সদস্য দায়িত্বপালন করবে।
আগামী ২৫ জুলাই আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য ৯ টি কেন্দ্রে ১৫৩ জন আনসার সদস্যকে মোতায়ন করা হবে। নির্বাচন কমিশন এসব সদস্যদের জন্য ভাতা বাবদ বরাদ্দকৃত নির্ধারিত পরিমাণ টাকা ভিডিপি অফিসের মাধ্যমে পরিশোধ করে থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আমতলী উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসের আনসার কমান্ডার বশির উদ্দিন এই ১৫৩ জন আনসারের তালিকা তৈরিকরেণ। তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তি করতে প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে আদায় করেছেন। টাকা আদায়ের জন্য তার বিশ্বস্ত ইউনিয়ন আনসার কমান্ডারদের দায়িত্ব দেন। আর এসব আনসার কমান্ডার প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে বশিরের কাছে জমা দেন।
ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনসার সদস্যরা জানান, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে নাম অন্তর্ভূক্তি করার জন্য প্রত্যেক আনসার সদস্যকেই টাকা দিতে হয়েছে। কেউ ৬০০ টাকা দিয়েছে কেউ আবার ১০০০ হাজার টাকাও দিয়েছে। টাকা না দিলে ডিউটিতে নাম দেয়না। তাই নিরুপায় হয়ে টাকা দিতে হয়। অফিসারের ইউনিয়নের বিশ্বস্ত কমান্ডাররা আনসার সদস্যদের কাছ থেকে এ টাকা সংগ্রহ করে নিজেরা কিছু রেখে বাকি টাকা অফিসে দিয়ে দেয়। বাকি টাকা বড় বড় কর্তারা ভাগবাটোয়ার করে।
এ বিষয়ে উপজেলা আনসার কমান্ডার বশির উদ্দিন বলেন, আমি কোন টাকা পয়সা নেইনি।
আনসার ভিডিপির উপজেলা অফিসার আল-আমিন বলেন, কেউ টাকা নিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
