আদালত প্রাঙ্গণে মিন্নির মুখ চেপে ধরলো পুলিশ!

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ স্বামী রিফাত শরীফ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। পরে আদালত থেকে বের করে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় মিন্নি কিছু একটা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ সময় পাশে থাকা দু’জন নারী পুলিশ সদস্য তার মুখ চেপে ধরেন।
শুক্রবার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। এদিন দুপুর ২টার দিকে আদালতে তোলা হয় মিন্নিকে এবং বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত আদালতে জবানবন্দি দেন। আমাদের সময়’র এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।
এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে আদালত প্রাঙ্গনে আসেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। সেখানে তিনি ‘নির্যাতন ও জোরজবরদস্তি’ করে তার মেয়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন।
এ সময় মোজাম্মেল হোসেন অভিযোগ করেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মেয়ের কাছ থেকে সাজানো জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার মেয়ে কোনোভাবেই জড়িত নয়।
তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা থেকে আইনজীবীরা আসবে শুনে পুলিশ নির্যাতন করে তড়িঘড়ি আমার মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমার মেয়েকে গ্রেপ্তার করে মামলায় জড়ানো হয়েছে। এখন আবার তাকে দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও রেকর্ড করানো হলো। এর মাধ্যমে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে।’
মিন্নির বাবা আরো বলেন, ‘আমি আইনি লড়াই করে সত্যটা বের করব ইনশাল্লাহ। আমার মেয়ে জীবন বাজি রেখে তার স্বামীকে রক্ষা করতে গেছে। এটাই তার অপরাধ? এসব কিছুই শম্ভু বাবুর (স্থানীয় সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু) খেলা। তার ছেলে সুনাম দেবনাথকে সেভ করার জন্য আমাদের বলি দেয়া হচ্ছে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে নেয়া হলেও মিন্নির কাছে আমাদের যা জানার ছিল, তা জানা হয়ে গেছে। তাই শুক্রবারই তাকে আদালতে হাজির করা হয়।’ আদালতে মিন্নি কী বলেছেন সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন ওসি হুমায়ুন।
