আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

.........................................

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প ন্যাশনাল সার্ভিস। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় এ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩ হাজার সুবিধা ভোগী বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।প্রকল্পের শুরুতেই নিযোগ প্রক্রিয়া যথাযথ ভাবে সম্পাদন হওয়ায় পলাশবাড়ী উপজেলার মানুষের নিকট সরকারের এই কর্মসূচি বেশ সুনাম ও প্রশংসা অর্জন করেছে।
প্রশিক্ষণ শুরুর পর থেকে এ প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম ও স্বজন প্রেতীর অভিযোগ ওঠে।বিভিন্ন সরকারী দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগ দেওয়া হলে ও যথাযথ মনিটরিং এর অভাবে এ প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখছে না। দীর্ঘদিন থেকে এই উপজেলায় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা না থাকায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের ৪ কর্মকর্তা যথাক্রমে হামিদুল ইসলাম, ফজলু মিয়া, সেলিম ও স্বপন গংরা লাগামহীনভাবে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মে জরিয়ে পরেছে।

সুবিধা ভোগীদের নিয়োগ দেওয়া বিভিন্ন দপ্তর হতে মাসিক প্রত্যায়ন পত্র গ্রহনে নেয়া হচ্ছে জালিয়াতির আশ্রয়।অনেকেই এই চার কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে মাসের পর মাস অবৈধভাবে বেতন ভাতা উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন।চুক্তি পত্র সম্পাদনের সময় নেওয়া হয়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রেভিনিউ ষ্ট্যাম্প ও প্রত্যায়ন পত্র যাছাই বাছাইয়ের জন্য মাসিক ৩০ থেকে ৫০ টাকা হারে নেওয়া হচ্ছে।

অনেক সুবিধাভোগী বিভিন্ন জিও এনজি ও সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে ও শুধু মাত্র এই চার কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মাসের পর মাস বেতন ভাতা উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন।এই ক্ষেত্রে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তারা বেতনের টাকা ৫০℅ করে থাকেন।এ ভাবে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই চার কর্মকর্তা।

এই চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে একটি বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে থাকে থেমে যেতে হয়।দেখানো হয় মামলা হামলা নির্যাতনের হুমকি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক
বলেন পলাশবাড়ী উপজেলায় অনিয়মের কথা আমি শুনেছি।সমস্যা সমাধানের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।আমি পলাশবাড়ী উপজেলা থেকে নাস্তার টাকা পর্যন্ত পাইনা।

পলাশবাড়ী উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের দুর্নীতি অনিয়মের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আগামীকাল থাকবে ৩য় পর্ব।