যশোরে দুই সন্তানকে নিয়ে এক মায়ের আত্মহত্যা

শাহারিয়ার হুসাইন: যশোরে শার্শা উপজেলার চালিতাবাড়িয়া- দিঘা গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পাশে ইব্রাহিম হোসেনের স্ত্রীসহ দুই সন্তানের গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার রাত ১১ টার দিকে সাংসারিক অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মা হামিদা তার ছেলে ও মেয়েকে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে লিচু খাইয়ে দেয়। পরে হামিদা নিজেও গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে নেয়। এতে ঘটনাস্থলে মা হামিদা ও ছেলে সোহান(৪) মারা যায়। পর্ববর্তীতে মেয়ে শরিফা(১২) খাতুন কে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে ডাঃ মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনা নিয়ে একেক জনের মধ্যে একেক রকম তথ্য নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে,প্রতিবেশী সিদ্দিক সরদারের সাথে শ্বাশুড়ি মরিয়মের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। যা দেখে ফেলা ও হামিদাকে অসামাজিক কার্যকলাপ করতে জোর জবরদস্তি করাতে তাদের হত্যা কিংবা আত্নহত্যায় প্রলুব্ধ করে তারা।
এলাকাবাসী জানায়,সাংসারিক অভাব-অনটনের সুযোগে শ্বাশুড়ি মরিয়ম পুত্রবধূ হামিদা এমনকি তার কিশোরী মেয়ে শরিফা খাতুনকেও বিভিন্ন সময় অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে প্রস্তাব দিত। এক পর্যায়ে ঘটনার রাতে আসন্ন ঈদে সন্তানদের পোষাক কিনতে ও বিভিন্ন সাংসারিক নানা অভাব অনটনের বিষয়ে তাদের মধ্যে গোলযোগ ও শ্বাশুড়ির অশ্লীল বাক্য বিনিময়ে হামিদাসহ তার সন্তানদের নিয়ে আত্নহত্যা করতে বাধ্য হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামিদা খাতুনের শ্বশুর আরাফাত হোসেন সরদার (৬৩) ,তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম(৪৮) ও এক প্রতিবেশী সিদ্দিক সরদার(৫৫) কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। এদিকে ইব্রাহীম দুই সন্তানসহ স্ত্রীর এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী করছেন তার মাকে।
হামিদা খাতুনের স্বামী ইব্রাহিমকে মামলার জন্য থানায় ডেকে নেয়া হয়েছে।
