গোবিন্দগঞ্জে আলোচিত শিশু ধর্ষনের মূল আসামী গ্রেফতার

আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইুনিয়নের ফাঁসিতলা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ১১ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ভবঘুরে হোটেলবয় সোহেল আকন্দকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষক সোহেল আকন্দ বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ধাপাকান্দি মাটেরহাট গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলাম আকন্দের ছেলে।
১৭ মে শুক্রবার ১২টায় পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া প্রেস ব্রিফিং এ জানান, গত ১২ মে সন্ধ্যায় অসুস্থ্য ওই শিশুটিকে তার ডাব বিক্রেতা দাদা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাঁসিতলা বাজারে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায়। ডাক্তার দেখানো শেষে তার দাদা ওই শিশুটিকে স্থানীয় সুশিলের মুদি দোকানের সামনে রেখে বাজারের ভিতরে ডাবের বাঁকী টাকা উঠানোর জন্য যায়। এসময় হোটেলের বয় সোহেল আকন্দ শিশুটিকে ফুসলিয়ে ফাঁসিতলা বাজারের পশ্চিম পাশে আশরাফুলের আঁখ ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক সোহেল আকন্দ পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান শিশুটিকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ভুক্তভোগির আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন করা হয়। ভুক্তভোগি আসামীকে চিনতে না পারায় তার দেওয়া জবান বন্দি অনুযায়ী আসামী সনাক্ত করতে পারছিল না পুলিশ। পরে জেলা পুলিশের সকল অফিসারদের আসামীকে গ্রেফতারের জন্য সাড়াশি অভিযানের নির্দেশ দেয় পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া।
প্রেস ব্রিফিং এ আরও বলা হয়, ধর্ষক সোহেল আকন্দ ফাঁসিতলা বাজারের রেশমী হোটেলে অন্তত ১০ দিন আগে কাজ করতো। ঘটনার পর সে ওই হোটেল ত্যাগ করে গোবিন্দগঞ্জের মায়ামনি হোটেলে বয়ের কাজ নেয়। এরপর সেখান থেকে ১৫ মে বগুড়া বাস স্ট্যান্ডে একটি হোটেলে বয়ের কাজে যোগ দেয়। সাড়াশি অভিযানে বিভিন্ন হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ।
ফুটেজে হোটেলবয় ধর্ষক সোহেল আকন্দ ঘনঘন হোটেল পরিবর্তনের ঘটনা পুলিশের সন্দেহ হয়। তখন শিশুটিকে ওইসব ফুটেজ দেখানো হয়। মায়ামনি হোটেলে কাজ করার সময় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আসামী সোহেল আকন্দের স্পষ্ট ছবি দেখে শিশুটি ধর্ষককে সনাক্ত করে। পরে ভিডিও ফুটেজ ও ভুক্তভোগি শিশুটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গেটে অবস্থিত কাটাখালি হোটেল থেকে ১৬ মে রাত ১১টায় পুলিশ সোহেল আকন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার আরও জানান, আসামী পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছে। আসামীকে দ্রæত আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।
