আমতলীতে ত্রাণের ঘর দখল নিতে দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

এইচ. এম. রাসেল,
আমতলী প্রতিনিধিঃ
সিডরের ত্রাণের ঘর দখলকে কেন্দ্র করে বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী বাজার সংলগ্ন দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছে নারীসহ অন্তত ১৫ জন। শুক্রুবার সকালে গুলিশাখালী বাজার সংলগ্নে এসব ঘটনা ঘটে। আহতদের বরিশাল শেবাচিম ও বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী বাজার সংলগ্ন শ্রী কৃষ্ণ মিস্ত্রি ঘূর্ণিঝড় সিডরে ত্রাণের একটি ঘর পায়। ২০০৯ সালে ওই ঘর গোপাল মালির কাছে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে। শ্রী কৃষ্ণ মিস্ত্রি ওই জমি বিক্রি করে এলাকা থেকে ঢাকায় চলে যান। ওই ঘরে গোপাল মালি গত ১০ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। এদিকে শ্রী কৃষ্ণ মিস্ত্রি গোপনে ২০১২ সালে ওই ঘর একই এলাকার আবদুল মন্নান মৃধার কাছে কোর্টে এ্যাফিডেভিট দিয়ে আশি হাজার টাকায় বিক্রি করে। শুক্রবার সকালে ওই ঘর দখল করতে যায় মন্নান মৃধাসহ তার লোকজন। এতে বাঁধা দেয় গোপাল মালি ও তার লোকজন। কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জরিয়ে পরে সংঘর্ষে দু’পক্ষের নারীসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ফাতেমা (১৪), নুরুন্নাহারকে (৪০) মিনতি রানী (৪০), ইন্দোজিত মালি (৬০), রাধা রানি (২৩), পূর্ণিমা রানী (১৪), অন্তরা রানী (২০), পলকি রানীকে (১৬) আসমা (২৫), ইব্রাহিম ও আবুল হোসেন এদেরকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে এবং বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল ও আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
গোপাল মালি বলেন, ২০০৯ সালে শ্রী কৃষ্ণ মিস্ত্রি ঘর আমার কাছে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে গেছেন। ওই সময় থেকে আমি ওই ঘরে বসবাস করে আসছি। শুক্রবার সকালে ওই ঘর মন্নান মৃধা ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দিয়ে জোড় করে দখল করতে যায়। এতে আমি বাঁধা দিলে লোহার হাতুড়ি, রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আমাদের ৬ জনকে আহত করেছে। আমি ঘটনার বিচার চাই।
আবদুল মন্নান মৃধার ছোট ভাই আবুল হোসেন মৃধা বলেন, শ্রী কৃষ্ণ মিস্ত্রি ২০১২ সালে ওই ঘর আশি হাজার টাকায় বিক্রি করে আদালতে এ্যাফিডেভিট দিয়ে গেছেন। ওই ঘর দখল করতে গেলে আমার লোকজনকে কুপিয়ে আহত করেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
