আমতলীতে ষষ্ঠ বিয়েতে সম্মতি না দেয়ায় চতুর্থ স্ত্রীকে কুপিয়ে যখম

এইচ. এম. রাসেল,
আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চুনাখালী গ্রামে ষষ্ঠ বিয়েতে সম্মতি না দেয়ায় চতুর্থ স্ত্রী নাসিমা আক্তারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে নিজাম মাতুব্বর।
জানাগেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চুনাখালী গ্রামের লেদু মাতুব্বরের ছেলে নিজাম মাতুব্বর গরুর ব্যবসা করে আসছে। ব্যবসার আড়ালে একের পর এক বিয়ে করছে নিজাম। ১৯৯৫ সালে তিনি জাহানারা বেগমকে প্রথম বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর ঘরে রয়েছে দুই সন্তান। দুই সন্তান রেখেই নিজাম প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়। এরপরেই খাজিদাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় ঘরে তিনটি পুত্র সন্তান রেখে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এরপর মারুফা বেগমকে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। তৃতীয় স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে এমন অভিযোগ ছেলে রিয়ন ও চতুর্থ স্ত্রী নাসিমার। পরে ওই স্ত্রীকেও তাড়িয়ে দেয়। ২০০৭ সালে নাসিমা বেগমকে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। নাসিমার ঘরে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান। এ বছর জানুয়ারী মাসে চতুর্থ স্ত্রী নাসিমাকে না জানিয়ে পঞ্চম স্ত্রী হিসেবে একই এলাকার ১৩ বছরের নিলা নামের এক মেয়েকে গোপনে বিয়ে করে। বর্তমানে ষষ্ট বিয়ের জন্য চতুর্থ স্ত্রী নাসিমা ও পঞ্চম স্ত্রী নিলার সম্মতি চায়। পঞ্চম স্ত্রী নিলা সম্মতি দিলেও চতুর্থ স্ত্রী নাসিমা ষষ্ট বিয়েতে সম্মতি দেয়নি। চতুর্থ স্ত্রী নাসিমা ষষ্ট বিয়েতে স্বামী নিজামকে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজাম মাতুব্বর চতুর্থ স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে গত ৬ মে আটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নাসিমার বাহু, কোমর,পিঠ ও রানে গুরুতর জখম হয়।
স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নাসিমাকে ওইদিন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গত ছয়দিন ধরে নাসিমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার রাতে নাসিমা বেগম বাদী হয়ে নিজাম মাতুব্বরকে প্রধান আসামী করে চার জনের নামে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, নিজাম মাতুব্বর একের পর এক বিয়ে করছে। আবার বিয়ে করতে বাঁধা দেয়ায় চতুর্থ স্ত্রীকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
