মোঃ আশরাফুল ইসলাম,
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
.........................................
ধারাবাহিক প্রতিবেদন -১ঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পের ঘুষের টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে যুব উন্নয়ন অফিস স্টাফদের দ্বন্দ প্রকাশ্য রুপ ধারন করেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায়,সারা দেশের ন্যায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি চালু হয় ২০১৮ সালে। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ৩ হাজার প্রার্থী চুড়ান্তভাবে মনোনীত করেন। ৩ হাজার প্রার্থীর প্রশিক্ষন কর্মশালা ৩ ধাপে অনুষ্ঠিত হয়।একজন প্রশিক্ষক বিষয় ভিত্তিক ৫০০ টাকা ও প্রশিক্ষনার্থীরা দৈনিক ১০০ টাকা করে ভাতা প্রদানের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। এই উপজেলায় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা না থাকার সুবাদে প্রশিক্ষণ শুরু থেকে প্রশিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করা হয়।
বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্কুল কলেজের শিক্ষকদের নামে বে নামে ক্লাস দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা সরকারি খাত থেকে উত্তোলন করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা যুব উন্নয়ন অফিসের স্টাফরা।
এসময় তাৎক্ষণিক এসব দুর্নীতি অনিয়ম ঢাকতে ম্যানেজ প্রক্রিয়ার দায়িত্ব প্রদান করা হয় যুব উন্নয়ন অফিসের স্টাফ হামিদুল ইসলাম কে।তিনি জানান এসময় তিনি ২ লক্ষ টাকা তার নিজ তহবিল হতে দিয়ে দুর্নীতি অনিয়মের বিষয়টি ধামা চাপা দেন।১০ মিনিটের ভয়েস রেকর্ডে হামিদুল ইসলাম আরো বলেন তিনি কাকে কত টাকা দিয়েছেন তার বিবরণ অফিস স্টাফদের দিয়েছেন।কিন্তু দুঃখ জনক হলে ও সত্য তার সহকর্মী অফিস স্টাফ স্বপন,সেলিম ও ফজলুরা ২ লক্ষ টাকার মধ্যে ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। অবশিষ্ট ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ না করায় যুব উন্নয়ন অফিসে চলছে আভ্যান্তরিন কোন্দল। দীর্ঘ দিন এই কোন্দল গোপন থাকলে ও বর্তমানে তা চরম আকার ধারন করেছে। এ তিন কর্মকর্তা বর্তমান সময়ে সার্ভিসে সুবিধাভোগী বেকার যুবক যুবতিদের ভাতা প্রদানের চেক ভাগ করে নেন তিন কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত হামিদুল তার সহকর্মীদের কাছে উক্ত টাকা চাইলে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সামনেই অফিস স্টাফ স্বপন সেলিম ও ফজলুদের মাঝে শুরু হয় বাক বিতন্ডা। এসময় সাংবাদিকরা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত খাদেমুল ইসলাম কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান আমি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজ আছি কাল নেই।পলাশবাড়ী উপজেলায় আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালন করছি। পলাশবাড়ী উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি ধারাবাহিক প্রতিবেদন দেখতে চোখ রাখুন ২য় পর্বে।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম