বীরগঞ্জে ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রায় ৫০ একর ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় চরম বিপাকে কৃষকেরা

মোঃ তোফাজ্জল হায়দার,
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের এস.বি.এম ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রায় ৫০ একর জমির ধানক্ষেত সহ বিভিন্ন প্রকার ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে কৃষকেরা, ন্যায় বিচারের দাবীতে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ। নতুবা আন্দোলনে নামবে কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিসারকে ম্যানেজ করে উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের নখাপাড়া এলাকায় আবাদি জমির উপর এস.বি.এম নামক ইট ভাটা তৈরী করেন বীরগঞ্জ পৌর শহরের আরিফ বাজার এলাকার আলহাজ্ব সমসের আলীর পুত্র সেলিম হোসেন।
রবিবার দুপুরে সংবাদ পেয়ে সরজমিনে গেলে বিপথগ্রস্ত কৃষকেরা জানায়, গত ৩০ এপ্রিল ভাটার বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দিলে গ্যসের প্রভাবে পাশর্ববর্তী এলাকার প্রায় ২০০ বিঘা জমির ধানক্ষেত সহ বিভিন্ন প্রকার ফলজ ও বনজ গাছ আকশ্মিক মড়ক দেখা গেলে কৃষকেরা চরম হতাশায় ও বিপাকে পড়েছে। প্রায় ৬৫/৭০ জন কৃষক ন্যায় বিচারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পক্ষে চাষী রহিদুল ইসলাম এই মড়কের কারন হিসেবে ভাটা কতৃপক্ষ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে দায়ী করে ভাটার বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দেওয়ার কারনে গ্যসের প্রভাবে পাশর্ববর্তী এলাকার প্রায় ৫০ একর জমির ধানক্ষেত সহ বিভিন্ন প্রকার ফলজ ও বনজ গাছ আকশ্মিক মড়ক দেখা যাওয়ার কথা বলেন।
এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য ওবাইদুল হক জানায়, কৃষি জমি নষ্ট করে ভাটা নির্মানে বাধা দেওয়ায় ও অভিযোগ থাকার পরেও অজ্ঞাত কারনে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ না নিয়ে ভাটা চালানোর সুপারিশ করেন। তখন বিরোধীতা করার কারনে ভাটা কর্তৃপক্ষ তাকে বিভিন্ন হুমকি দেয়, তারোই কারনে আমি আইন গত ব্যাবস্থা নিয়েছি। যাহা বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে। সে সময় বাধা দেওয়ার কারন আজ প্রমানিতো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানায়, ধান ক্ষেত নষ্টের ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন এটা কোন প্রাকৃতিক দূর্জগের ঘটনা নয়। তবে আমরা অফিসিয়াল ব্যাবস্থা গ্রহনের চেষ্ট করছি।
অপরদিকে সংবাদ পেয়ে ভাটার মালিক সেলিম ও তার পিতা অপর ১টি ভাটার মালিক আলহাজ শমসের আলী ক্ষতিগ্রস্থ ধান ক্ষেত পরিদর্শন করেন। স্থানীয় কৃষক ও সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে উধ্বর্তন কৃতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
