10:01 PM, 12 November, 2025

সাত রোহিঙ্গার ভারত থেকে অনুপ্রবেশ, অতঃপর আটক

6

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির থেকে ৭ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর সদস্যরা। তারা ভারতের ছম্ভল, মুরাদাবাদ, দিল্লী এবং উত্তর প্রদেশ থেকে বাংলাদেশের মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে ক্যাম্পে এসেছে বলে জানা গেছে। বুধবার (৭ জুলাই) এ তথ্য জানা গেছে।

 

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে তাদের আটক করার কথা নিশ্চিত করেছেন ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।আটককৃতরা হলেন, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার বুচিডং এলাকার মৃত মকবুল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৩৫), তার স্ত্রী খতিজা বেগম (২৭), মেয়ে বিবি হাফজা, একই এলাকার ছলিম মাহমুদের ছেলে আব্দুর রহমান (২৭), তার স্ত্রী সানজিদা বেগম (২৫), ছেলে মোহাম্মদ ওমর (৫) মেয়ে ইয়াসমিন ফাতেমা (৮) ও তাদের কুতুপালংয়ের মধুছড়া ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়া রহিমা খাতুন (৩০)।

 

এপিবিএন কর্মকর্তারা জানান, রোহিঙ্গা আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ আমিন ২০১০ সালে মায়ানমার হতে ভারতে চলে যান এবং খতিজা ও সামজিদা তাদের মা রহিমাসহ ১৫ বছর আগে মায়ানমার হতে ভারতে যান। সেখানে আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ আমিন এর সাথে খতিজা ও সামজিদা’র বিয়ে হয়। ২০১৭ সালে মায়ানমার হতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসার পর রহিমা খাতুন তার ১ মেয়ে রাবেয়া বেগম ও ৩ ছেলে ছানাউল্যা, রোকন উল্যা, মোঃ সেলিম’কে নিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশ এসে উখিয়া থানাধীন রোহিঙ্গা ক্যাম্প-০৩ এর জি/১-ব্লকে বসবাস করতে থাকেন। রহিমা খাতুন বাংলাদেশ থেকে ভারতে থাকা তার মেয়ে ও মেয়ের জামাইদের সাথে মোবাইল ফোনে সবসময় যোগাযোগ রাখেন। রোহিঙ্গা আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ আমিন তাদের পরিবারসহ ভারতের দিল্লির ছম্ভল, মুরাদাবাদের বিকাশ পুরী শরণার্থী ক্যাম্পের এর নিবন্ধিত শরণার্থী হলেও তারা সেখানে কোন রেশন সামগ্রী পেতেন না। তারা সেখানে রাজমিস্ত্রি’র কাজ করে সংসার চালাতেন। সেখানে তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার কোন সুযোগ ছিল না বিধায় তারা সুযোগ-সুবিধার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক বলেন, আটকের পর ক্যাম্প সিআইসির সঙ্গে কথা বলে তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত এখনো প্রক্রিয়াধিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *