9:54 PM, 12 November, 2025

মিতুর হত্যাকারীদের কয়েক দফায় টাকা দিয়েছিলেন

inbound4747509134495875833

আলোচিত সাবেক এসপি বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুর হত্যাকারীদের কয়েক দফায় টাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বৃহস্পতিবার বলেন ‘হত্যাকারীদের বিভিন্ন ধাপে অর্থ দিয়েছেন বাবুল আক্তার, যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাবুলের দুই বন্ধুর দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে প্রাথমকিভাবে তিন লাখ টাকা দেওয়ার কথা জানা গেলেও টাকার পরিমাণ আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে’।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল, তার আগে তিনি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে বাবুল আক্তার নিজেই মামলা করেছিলেন। বুধবার সেই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে পিবিআই জানায়, মিত্যু হত্যায় বাবুল আক্তার জড়িত।

অপরদিকে গতকাল (বুধবার) এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বলেছিলেন, হত্যাকাণ্ডের পর বাবুলের দুই বন্ধু সাইফুল হক এবং গাজী আল মামুনের মাধ্যমে ‘সোর্স’ কামরুল ইসলাম সিকদার মুছাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছিল। সাইফুল হক বাবুল আক্তারের পূর্ব পরিচিত এবং এক সময়ের ব্যবসায়িক পার্টনার। আর কাজী আল মামুন হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়া পলাতক মুছার আত্মীয়।

ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে ওই খুনে একাধিক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে পুলিশ। যাদের মধ্যে ছিলেন বাবুলের ‘সোর্স’ কামরুল ইসলাম শিকদার মুছাও। কিন্তু তখন তাকে ‘চিনতেই পারেননি’ বাবুল।

হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর গত মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন বুধবার ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই জানায়, মিত্যু হত্যার সঙ্গে স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। পরে তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে আট জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বুধবারই তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পিবিআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *