6:31 AM, 13 November, 2025

চায়ের দোকানের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা, রাতে সেবনে মগ্ন

20190430_164839
সফিকুল ইসলাম মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা :
কারো বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হলে এবং জমি কেনা-বেচা করলে তাকে দিতে হয় চাঁদা। স্থানীয় সালিস মীমাংসা তাকে ছাড়া কিছুতেই সম্ভব নয়। এসব করেন প্রকাশ্যে নিজের চায়ের দোকানে বসে, আর গোপনে বেঁচেন ইয়াবা। সন্ধ্যা হলেই অনুগতদের নিয়ে ইয়াবা সেবনে থাকেন মগ্ন।
এমনই অভিযোগ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কামারচর গ্রামের মৃত আনছর আলীর ছেলে আল আমিন(৩২) ‍এর বিরুদ্ধে।
এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদার টাকা না পেয়ে জয়দল নামের এক কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে মুরাদনগর থানা পুলিশ। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর আদলে থেকেই দিন দিন তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ, তাই এলাকার লোকজন তার গ্রেফতারের খবর শুনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
সোমবার (২৯ ‍এপ্রিল) দুপুরে আটক আল আমিনকে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
থানায় অভিযোগকারী একই গ্রামের সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আল আমিন আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় অনৈতিকভাবে প্রভাব খাটিয়ে চলে। এলাকার কেউ জমি কিনলে বা বাড়ি বানালে তাকে চাঁদা দিতে হয়। গত কয়েক মাস আগে আমার একটি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ৫০ হাজার টাকা চাইলে আমি তাতে অপারগতা প্রকাশ করি। টাকা না পেয়ে সে আমার পিছনে লাগে। বিভিন্নভাবে হুমকি দমকি দিয়ে আমাকে ঘায়েল করতে ব্যর্থ হয়ে গত রোববার আমার দোকানের কর্মচারী জয়দলকে একা পেয়ে মারাত্মকভাবে পিটালে একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে। পরে নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাকে আটক করে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, আল আমিন নাম মাত্র চা বিক্রি করেন। কিন্তু তার আসল কাজ হচ্ছে প্রভাব খাটিয়ে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা ও গোপনে ইয়াবা বিক্রি করা। সন্ধ্যার পরে দলবলে এলাকার যুবকদের নিয়ে ইয়াবা সেবনে মগ্ন থাকে তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে খন্দকার বাড়ির থেকে ৬ হাজার ও একই গ্রামের ছাত্তার মিয়া জমি বিক্রি করলে তার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের ঘটনা এলাকার লোকজনের মুখে মুখে।
মুরাদনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্তকারী মোহাম্মদ বাদল মিয়া বলেন, আল আমিন দুষ্ট লোক এলাকাবাসী তার কৃতকর্মে অতিষ্ঠ। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ায় তাকে সোমবার আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।