পলাশবাড়ীতে ম্যাজিস্টেট এর উপর হামলার ঘটনাটি সঠিক নয়

এরমধ্যে আজ ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার পলাশবাড়ী পৌর শহরে কালীবাড়ী বাজারে অপ্রয়োজনীয় ঘোডাফেরা করাকালে ভ্রাম্যমান আদালতে ১৪ জনের জরিমানা আদায় করাকালে একটি অনাকাংখিত একটি ঘটনা ঘটে । এসময় জরিমানায় দন্ডপ্রাপ্ত এক ব্যক্তি জরিমানা অর্থ প্রদানের অস্বীকৃতি জানিয়ে ডিসি আর বইয়ের কয়েকটি পাতা ছিড়ে ফেলেন কলম ভেঙ্গে পেশকারে শরীরে ছুড়ে মারেন এতে ডিসি আর বইয়ের উপরে ও পেশকারের জামা কাপড়ে কলমের কালি লাগে। এছাড়াও ওই ব্যক্তি পুলিশ সদস্যদের সাথে খারাপ আচারণ করেন। এঘটনার সাথে সাথে এ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নিয়োমিত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মেরিনা আফরোজ। তবে ম্যাজিস্টেট এর উপর হামলা হয়েছে মর্মে যে খবর বলে বেরাচ্ছে তা সঠিক নয় উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে মনে করেন তিনি ।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মেরিনা আফরোজ তিনি তার সরকারি দাপ্তরিক ফেসবুক আইডিতে যা বলেছেন তা হুবাহুব তুলে ধরা হলো।
প্রতিদিনের মত আজ ০৭/০৪/২০২০ তারিখ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণে সচেতনতা মূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পলাশবাড়ী উপজেলার সদরে অবস্থিত কালিবাড়ি বাজারে বক্তব্য প্রদান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় ।এ সময় দন্ড বিধি,১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় বিভিন্নহারে অপ্রয়োজনে বাজারে ঘুরে বেড়ানোয় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান খোলা রাখায় ১৪ জনকে মোট ৪,৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় একজন জরিমানা দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে জরিমানা দিলেও ডিসিআর বইয়ের কয়েকটি পাতার কিছু অংশ ছিড়ে ফেলেন এবং কলম ভেঙে আমার পেশকারের দিকে ছুড়ে মারেন।এতে কলমের কালি ডিসি আর বইয়ের পেজে লাগে ও পেশকারের জামা-কাপড়ে লাগে। সাথে থাকা পুলিশের সদস্যরা এর কারণ জিজ্ঞেস করলে সে তাদের সাথে উদ্ধতভাবে কথা বলে চলে যেতে চায়। পেশকার এবং পুলিশ সদস্যদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করায় এবং রাস্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট করায় তাকে থানায় নেয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের এর কাজ চলমান । এদিন এরপর কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন এর সুলতানপুর বারইপাড়ার বেলেরঘাট এলাকায় অবৈধভাবে বালু বিক্রি করার খবর পেয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া না গেলেও ৪ টি বালুবোঝাই ট্রাক ও ৬ টি বেলচা পাওয়া যায়। বেলচাগুলো তাৎক্ষনিকভাবে জব্দ করা হয় এবং ট্রাকগুলো স্থানীয় চেয়ারম্যান এর জিম্মায় রাখা হয়েছে ( থানায় পৌঁছে দিবেন)। যারা বালু বিক্রি করছেন এবং যারা কিনছেন সবার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের এর কাজ চলমান আছে।
বিঃ দ্রঃ কেউ কেউ ম্যাজিস্ট্রেট এর উপর হামলা বলে যে খবর বলে বেড়াচ্ছেন তা উদ্দেশ্য প্রনোদিত হতে পারে। মূল ঘটনা উপরে বর্ণনা করা হল। সঠিক খবর সঠিকভাবে সকলের সামনে নিয়ে আসা আমাদের একান্ত কাম্য। আমরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি আপনাদের স্বার্থে, আপনাদের ভালো রাখতে। তাই আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
