হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের চিত্র তুলে ধরায় সাংবাদিক শাহ সুলতান আহমেদকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে সাংবাদিক এম মুজিবুর রহমান ও বুলবুল আহমেদকেও মারা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
১ এপ্রিল, বুধবার বিকেলে আউশকান্দি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, সম্প্রতি দরিদ্রদের জন্য আসা সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেন আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন। কিন্তু তিনি ১০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিবর্তে প্রত্যেককে ৫ কেজি করে প্রদান করেন।
এনিয়ে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ও উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি শাহ সুলতান আহমেদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে সাধারণ মানুষের বক্তব্যসহ অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান হারুনসহ ২০/২৫ জন লোক সাংবাদিক শাহ্ সুলতানের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্বরা সাংবাদিক মুজিবুর রহমান ও বুলবুল আহমেদকেও মারধর করে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করেন এবং আশংঙ্কাজনক অবস্থায় সাংবাদিক শাহ সুলতানকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়া বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান অসহায় মানুষের জন্য আসা ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম করেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা সংবাদ প্রচারে গেলে তাদেরকে মারধর করা হয়। অথচ এখনও চেয়ারম্যান এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরাঘুরি করছে। এ ব্যাপারে আমরা চেয়ারম্যান দ্রুত গ্রেপ্তাদের দাবি জানালে প্রশাসনের লোকজন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নেতৃ বৃন্দকে নিয়ে বসেছেন।’
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন চেয়ারম্যানের উপর উত্তেজিত হলে পুরিশ তাদের শান্ত করে। তবে এ ব্যাপারে নির্যাতিত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম