আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের মেরিরহাট এলাকায় বাহিরডাঙ্গা গ্রামের কাচা রাস্তাটির ১ কিলোমিটার প্রায় ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে হেরিং বন্ড এর কাজ চলছে । উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে কাজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার মন্ডল ট্রের্ডাস।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায়,সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তিন নাম্বার ও লালক্লাস ইট ব্যবহার করা হচ্ছে উক্ত রাস্তাটির হেরিং বন্ড কাজে।
তথ্যমতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবাায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহকারি প্রকৌশলী রাসেল ও অফিসের এমএলএসএস আনিছের উপস্থিতিতে প্রতি দশটি ইটে ৩ টি তিন নাম্বার ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে লাল ক্লাস ইট। রাস্তাটির বেড তৈরী করে একদিকে ইট গোছানো হচ্ছে অন্যদিকে এসব ইটের উপরে বিট বালু দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। রাস্তাটিতে বিছানো ইটের গ্যাপ পুরুন করা হচ্ছে না। এতে করে সড়কটি নির্মাণের পর যদি ট্রাক্টরের মতো ভাড়ী যানবাহন চলাচল করে তাহলে অনায়াসে সড়কের এসব ইট সরে নরে যাবে রাস্তাটিতে চলাচলে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাবে স্থানীয়দের। কে দেখবে বাস্তবতা কে করবে এসবের প্রতিকার। প্রতিকারকারিরাই যেখানে দাড়িয়ে দেখে যেন একটা খাম্বা।
এবিষয়ে উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারিদের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন ক্রয়কৃত ইটভাটা মালিক ইটের মধ্যে এসব ইট মেশানোর ফলে এসব ইট রাস্তায় এসেছে আমরা অনেক গুলো তুলে ফেলেছি। যদিও এখনো কিছু আছে তবে কাজ সম্পাদনা কারি প্রতিষ্ঠানে এক বছরে জন্য ১০ ভাগ অর্থ জামানত থাকবে তাই কাজ খারাপ হলে আবারো তাদের কেই সংস্কার করতে হবে। তাদের এ কথার অর্থে এই দাড়ায় একবছরের এজন্য এসব উন্নয়নের স্থায়ীত্বকাল।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগে চেষ্টা করে তাকে না পাওয়া তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের গ্রামীন উন্নয়ন মুলক কাজ গুলোর জন্য ব্যবহৃত সামগ্রীর মান গুণ ধরে দাম দর দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে মান গুনহীন সামগ্রী গুলো ব্যবহার হচ্ছে হরদম অধিকাংশ প্রকল্পে।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম