8:07 AM, 13 November, 2025

মাগুরায় ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে ধরা কনস্টেবল

yaba-police019-09-16-18-08-05-1-thumbnail

মাগুরায় ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক পুলিশ কনস্টেবল। এ সময় আবুল বাশার নামের ওই কনস্টেবলের কাজ থেকে ৫০টি ইয়াবা বড়ি জব্দ করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আটককৃত ওই কনস্টেবল সদর উপজেলার হাজিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।

২৬ নভেম্বর, মঙ্গলবার রাতে জেলা শহরের ঢাকা রোড এলাকা থেকে বাশারকে আটক করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক চিহ্নিত মাদক কারবারিকেও আটক করে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবদুর রহিম জানান, গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে শহরের ঢাকা রোড এলাকার ঈগল হোটেলের সামনে মাদকের একটি চালান লেনদেন হবে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ইয়াবা লেনদেনের সময় বাশার ও রাজীব হোসেন নামের দুজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫০টি ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়।

আবদুর রহিম আরো জানান, দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে তাদের একজন আবুল বাশার পুলিশের কনস্টেবল। তার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বড়দিয়া গ্রামে। আর তার সহযোগী রাজীব হোসেন একই উপজেলার হাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, রাজীব হোসেন একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। তার নামে একাধিক মাদক মামলা আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজীব জানিয়েছেন, এর আগেও পুলিশ সদস্য আবুল বাশারকে মাদক বিক্রিতে সহায়তা করেছেন তিনি। এ ঘটনায় ওই রাতেই মাগুরা সদর থানায় মামলা হয় বলেও জানান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া মামলায় পুলিশ সদস্য আবুল বাশার ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ২৭ নভেম্বর, বুধবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলাটি তদন্ত করবেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার হোসেন।

এ প্রসঙ্গে মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে আটক ওই পুলিশ সদস্য ১০ মাস আগে বদলি হয়ে মাগুরায় এসেছেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশে ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থাতেই তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় তদন্ত ও শাস্তি হয়েছে। আর ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় তার নামে থানায় মামলা হয়েছে। এখন তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। আর তদন্ত ও বিচার শেষে দোষী প্রমাণিত হলে হয়তো তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।