গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবে শ্যালোমেশিন দিয়ে ড্রেজিং করে তোলা হচ্ছে বালু

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে তালুককানুপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীসহ অত্র এলাকার বিভিন্ন স্থান হতে অবৈধ ভাবে শ্যালোমেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের খবর নতুন নয়। বহুদিন হলো ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বালু উত্তোলনের সত্যতা যেমন রয়েছে তেমনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে একাধিকবার অভিযান পরিচালনার করে জেল জরিমানার খবরোও রয়েছে। এবং উপজেলা জুড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকলেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হয়ে নিত্য নতুন স্থান হতে বালু উত্তোলন ধারাবাহিক ভাবে চলছে।
উপজেলার তালুককানু পুর ইউনিয়নের বেড়া মাল া গ্রামের মৃত আঃ জলিলের ছেলে আনারুলের ৪ হতে ৫ শতকের একটি জলা জমি কে ভাড়া নিয়ে চিহিৃন্ত বালু খেকো বালুয়া এলাকার মমতাজ আলীর ছেলে রমজান আলী। সে স্থানীয় প্রভাবশালী ও উপজেলা ভ‚মি অফিসের কতিপয় ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে শ্যালো মেশিন দিয়ে ড্রেজিং করে আবাদি জমি ও বসত বাড়ীর পাশে হতে অবৈধ ভাবে এসব বালু উত্তোলন করছে।
জমির মালিক স্থানীয় পেশীশক্তিধর প্রভাবশালী আনারুল জানান,আমি পুকুর খননের জন্য রমযান আলীকে জমি প্রদান করেছি সে সেখান হতে বালু উত্তোলন করছে।
ইউপি চেয়ারম্যানের আত্মীয় পরিচয়দানকারীর বালু খেকো রমজান আলী জানান,সংশ্লিষ্ট সকলকে ম্যানেজ করে মৌখিখ অনুমতি নিয়ে এসব বালু উত্তোলন করছি।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আতিক জানান, আমার আত্মীয় হোক আর কেউ হোক অপরাধী সে অপরাধী আর অপরাধীর অপরাধের শাস্তি আইন অনুসারেই হওয়া উচিত। তিনি এসময় সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে অত্র এলাকায় অবৈধভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মণ জানান,অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন বালু উত্তোলনকৃত স্থানীয়দের নিকট হতে লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
