প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১৩, ২০২৫, ৫:১৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২৩, ২০১৯, ৫:২৮ পি.এম
শার্শার বিতর্কিত চেয়ারম্যান কতৃক যুবক গুম হওয়ার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসন নিরব

শাহারিয়ার হুসাইন :
শার্শার কায়বার বিতর্কিত চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকু বাহিনী কতৃক অপহরণের পর গুম হওয়ায় যুবক মহিবুল গুম হওয়ার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসন নিরব থাকায় জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত গুম হওয়া যুবক মহিবুলকে উদ্ধার করে তার অসহায় বাবা - মার কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।
এদিকে চেয়ারম্যান টিংকু বাহিনী মহিবুলের পরিবারকে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে । তারা মহিবুলের বাবা-মাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সাদা কাগজে টিপসই দিয়ে নিয়েছে। মহিবুলের পরিবার সহ এলাকাবাসী মধ্যে টিংকু বাহিনীর ভয়ে আংতঙ্ক বিরাজ করছে। মহিবুলের পরিবার প্রাণের ভয়ে থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না।
মঙ্গলবার সকালে সরজমিনে গেলে মহিবুলের বাবা শুকুর আলী ধোবন বলেন, তার ও তার স্ত্রী কে জোর করে টিপসই দিয়ে নিয়েছে। তার ছেলে মহিবুলকে এখনো পাওয়া যায়নি। এখনো কোনো খোজ মেলেনি মহিবুলের। অথচ একটি মহল টিংকু বাহিনীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে মহিবুলকে পাওয়া গেছে। কিন্তু মহিবুল গুম হওয়ার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত তার কোন খোজ পানি তার পরিবার।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার শার্শার কায়বা গ্রামের এক মাদক ব্যবসায়ীর মেয়ের অসামাজিক কাজের ভিডিও করাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের শুকুর আলী ধোবনের ছেলে মহিবুলকে অপহরণের পর গুম করে কায়বার বিতর্কিত চেয়ারম্যান টিংকু বাহিনী। এসময় তারা মহিবুলের পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবী কৃত টাকা না দেওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান টিংকুর বাহিনী ক্যাডার দাউদ, ভাবলু ও রফিকুল সহ ১০ / ১২ জন দূর্বত্ত মহিবুলকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে চেয়ারম্যান টিংকুর কাছে। এর পর থেকে মহিবুলকে আর না পাওয়া যাওয়ায় তার পরিবারের দাবী চেয়ারম্যান টিংকুর ক্যাডারদের দাবী কৃত ২ লাখ টাকা না দেওয়ায় মহিবুলকে গুম করা হয়েছে।
মহিবুলের মা মাছুরা খাতুন জানান, আমার ছেলে মহিবুলকে শুক্রবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান টিংকুর কাছে নিয়ে যাচ্ছি বলে দাউদ, ভাবলু ও রফিকুল সহ ১০/ ১২ জন লোক জোর করে ধরে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান টিংকুই আমার ছেলেকে গুম করে রেখেছে।
যুবকটি গুম হওয়ার বিষয়ে অভিযুক্ত শার্শার কায়বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ আহম্মেদ টিংকুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলেটিকে নিয়ে আসার পর তাকে দাউদের মাধ্যমে থানায় পাঠিয়েছি। পুলিশের কাছে দেওয়ার পর আমার দায় দায়িত্ব শেষ।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, থানায় কোন ছেলেকে কেউ হস্তান্তর করেনি। এবং আমরা কাউকে কারো কাছ থেকে বুঝে নেইনি।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম