মোঃ মারুফ বিল্লাহ্, পাকুন্দিয়া প্রতিনিধিঃ
রিমা-সহ সকল ধর্ষিতাদের ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্ষকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চি শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে সত্যেরপথে আলোর সন্ধানে যুব সংগঠন।
শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ গেইটের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন করেন সংগঠনের সদস্যরা। মানববন্ধনে সংগঠনের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর নেতৃবৃন্দ।
মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন পাকুন্দিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব শরিফুল ইসলাম সুজন, বিসিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক জনাব হুমায়ুন কবির শেখ, সংগঠনের উপদেষ্টা জনাব বুরহান উদ্দিন, সংগঠনের সভাপতি মেহেদি হাসান মুন্না, সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ মিমশাদ শেখ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ধর্ষণ একটি ভয়ংকর ব্যাধি। সকলকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ ধরণের ঘৃণ্য কাজ যারা করে তাদের কোন আশ্রয় প্রশয় দেয়া যাবে না। সমাজ থেকে ধর্ষণ করার এই নিকৃষ্ট মনোভাব দূর করতে হবে। বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান নেই বলে কিছু মানুষ এইসব নিকৃষ্ট কাজে লিপ্ত হয়। তাই সরকারের এখনই সময় ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার।
বক্তারা আরও বলেন রিমা ধর্ষন ও হত্যাকারিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিতে হবে।
জানাগেছে,গত বুধবার হোসেনপুর উপজেলার জামাইল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে ও হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী রিমা আক্তার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের গাংধোয়ারচর গ্রামে নানাবাড়ি বেড়াতে আসে ।
নিহত রিমার মা বলেন, প্রেমের ফাদে ফেলে চরফরাদী গ্রামের খুরশিদ উদ্দিনের ছেলে জাহিদ এবং তার ২-৩ জন বন্ধুকে সাথে নিয়ে বুধবার রাতে পাশের একটি পুকুরপাড়ে রীমাকে ধর্ষন করার পর হত্যা করে গাছের সংগে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় রীমাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি। এক পর্যায়ে ওই পুকুরপাড়ে একটি বরই গাছের ডালে রীমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তিনি।এসময় ধর্ষনের আলামত হিসেবে লাসের পাসে ৩টি যৌন কন্ডম ও যৌন উত্তেজক ঔষধ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।