সাদুল্যাপুরের ধাপেরহাট বিএমপি উচ্চ বিদ্যালয়টি ৫০ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি

আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ৫০ বছরের পুরনো গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুরের ধাপেরহাট বি.এম.পি দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চলছে জরার্জীণ টিনসেড ভবণেই। শ্রেণি কক্ষ সংকটে ছাত্র-ছাত্রীদের বসার জায়গার সংকুলান হচ্ছে না। এছাড়া নেই বিজ্ঞানাগার, লাইব্রেরি ও পর্যাপ্ত টয়লেটসহ অনান্য সুযোগ সুবিধা। এদিকে অবকাঠামো সংকটের কারণে জোড়াতালি আর গাদাগাদি করে চলে আট শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান। এতে চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, নতুন ভবণ নির্মাণে বারবার দাবি জানিয়ে আসলেও কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। দেশে কত সরকার এলো গেলো এ শিক্ষাঙ্গনটিতে ৫০ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগলোনা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,গত ১৯৭০ সালে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট বি. এম. পি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সহায়তায় বোচা মাহামুদ প্রামাণিকের নামেই নামকরন হয় বিদ্যালয়টি। ১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৮০০ ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরেও বিদ্যালয়টিতে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। বিদ্যালয়টিতে নেই কোন একাডেমিক ভবন। শ্রেণি কক্ষ বলতে আছে কয়েকটি টিন শেডের ঘর। শ্রেণি কক্ষ সংকটে গাদাগাদি করেই চলে পাঠদান কার্যক্রম। এছাড়া বিদ্যালয়ে নেই বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরীসহ কমন রুম। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি আর স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশনের অভাবসহ নানা সমস্যার কথা জানালেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও নানা সমস্যায় জর্জরিত। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সার্বিক উন্নয়নে সংশিষ্ট কর্মকর্তাসহ বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজনী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ অত্র এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
