পলাশবাড়ীতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা হেনস্থার শিকার

আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা হেনস্থার শিকার হয়েছেন।
হেনস্থার শিকার অফিসের কর্মকর্তা জাফরুল হোসেন ও কর্মচারী আনিস জানান,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বদলি হওয়ায় পথটিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির। তিনি দুই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দুই উপজেলায় কর্মরত থাকার ফলে স্থায়ীভাবে থেকে পলাশবাড়ী উপজেলার কর্মকাজ পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। একারণে অনেক সময় ফোনে বা সরারসি সব সময় পাওয়া সম্ভব হয় না। গতকাল ২৮ এপ্রিল রবিবার দুপুরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের খোঁজে অফিসে আসেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ কবির সুমন। এসময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অফিসে নাই দেখে অফিসের কর্মকর্তা জাফরুল ও আনিসসহ কর্মচারীদের অফিস হতে বের হয়ে যেতে বলেন ও রাগারাগি করেন এসময় তিনি তাদের বলেন আপনাদের অফিসার নেই তাহলে আপনারা অফিসে থেকে কি করবেন বেরিয়ে যান । এসময় এ নেতার রাগান্তি ভাব ও বাকবিতাদন্ডের কারণে অফিস হতে বেড়িয়ে যান কর্মকর্তা জাফরুল ও কর্মচারি আনিসসহ অন্যরা। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল হোসেন স্যার সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবগত করি। এবং তারা আরো বলেন, উপজেলা পরিষদের ভিতরে কোন ঘটনা ঘটলে তার করণীয় ঠিক করবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ কবির সুমনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা পরিষদের অফিস চলাকালিন অফিসকক্ষে ঢুকে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের হেনস্থা করার এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোন প্রকার আপোষ মিমাংসা হয়নি তবে সাবেক ও বর্তমান স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্যদের সহিত আলাপ আলোচনা হয়েছে। বর্তমান উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
এঘটনার বিষয়ে উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত ও দায়িত্ব গ্রহনকারী চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব এ কেএম মোকসেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ বলেন, অন্যায়কারী যেই হোক তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ঘটনাটি আমি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ জানে সেকারণে দলীয় সম্মান যেহেতু জড়িত তাই দলীয় ভাবে সকলে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, কারো কোন স্বার্থে একটু সমস্যা হলে উপজেলা চত্বরে বা দপ্তরের কার্যালয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয়। এ হতে পরিত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী। এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির জানান,বিষয়টি নিয়ে আমার অফিসষ্ট্যাফদের সংঙ্গে কথা বলেছি। এবং তাদের পরবর্তী নির্দেশনা দিয়েছে সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার জন্য এবং পরবর্তিতে কোন ধরণের ঘটনার পূর্ণরাবৃত্তি হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
