আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বালু ব্যবসায়ীদের অবাধে ট্রাক্টর চলাফেরা করায় বাঁধটি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। সাধারন যানবাহনসহ পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বৎসর পূর্বে রাক্ষসী বন্যার হাত থেকে কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকদের অতিকষ্টে নানামুখী ফসল রক্ষার্থে তৎকালিন সরকার ঢাকা মহাসড়কের সাদুল্যাপুরের গোসাইজানি ব্রীজ হতে পলাশবাড়ী উপজেলা হয়ে গোবিন্দগঞ্জে কাটাখালি ব্রীজ পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। উক্ত বাঁধ নির্মাণের পর থেকেই পলাশবাড়ী সাদুল্যাপুর ও গোবিন্দগঞ্জের কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার বন্যার হাত থেকে রক্ষা পায়। ফলে তারা উন্নয়নের স্বপ্ন রচনা করে। এলাকাবাসী জানায় যখন আমাদের এই বাঁধ ছিল না প্রতি বৎসর বর্ষা মৌসুমে বন্যার সময় রাক্ষসী বন্যা আমাদের সহায় সম্বলহীন করে ফেলতো। কিন্তু বর্তমানে বাঁধটি নির্মানের পর থেকেই আমরা বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে অথনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হয়ে উঠছি। কিন্তু প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা কোথায় স্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে এবং নদীর চর থেকে ট্রলি, ট্রাক্টর (কাকড়া) দিয়ে বাঁধের ওপর দিয়ে, কোথাও বা বাঁধ কেটে রাস্তা তৈরী করে চলাচল করায় বাঁধটি দিনদিন ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। তাতে সাধারন যানবাহনসহ পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাঁধের উপরে মানুষের চলাচলে বাঁধ ব্যাপক জনদূভোগ পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা যদি এভাবে উপর চলাচল করেন তাহলে দূর্ভোগ কেমন নিজ চোখে দেখতে পারবে। সরকার একদিকে বছর বছর বরাদ্দ দিয়ে বন্যা মঙ্গা দুর করতে যুদ্ধ করলেও স্থানীয় ভাবে কর্মরত সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় তা বরাবরের মতো ভেস্তে যেতে বসেছে। এ এলাকার বাঁধের অনেক অংশই ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে বর্ষাকালে এ এলাকায় বন্যার আশংঙ্কা ব্যাপক।
বিশেষ করে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গণেশপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ও বেলেরঘাট এলাকায় বাঁধের নাজুক অবস্থা। হোসেনপুর ইউনিয়নের করতোয়া পাড়া, কিশামত চেরেঙ্গা এলাকায় বাঁধের ওপর দিয়ে ট্রলি কাকড়া চলাফেরা অব্যাহত রেখেছে। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের দৃর্ষ্টিতে বার বার এনেও থামনো যায়নি অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের উপর দিয়ে কাকড়া, ট্রাক্টর, ট্রলি ও ট্রাকের দানব আকাড়ে চলাচল বন্ধ হয়নি আজও।
পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোর গাড়ী ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে করতোয়া নদী ভাঙ্গনে ৩৪টি পরিবার ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে ৷ভাঙ্গন রোধে সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা ৷ এছাড়া সর্বস্তরের এলাকাবাসীর দাবী বাঁধ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা এবং বন্যা হতে অত্র এলাকার জনসাধারণ কে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম