9:44 AM, 13 November, 2025

তালতলী পঁচাকোড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে আদালতের শোকজ

images-2
বরগুনা সংবাদদাতাঃ
বরগুনার তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজির হোসেন কালু পাটোয়ারীসহ ১৩ জনকে কারন দর্শনোর নোটিশ দিয়েছেন আমতলী নির্বাহী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন।
একটি মিথ্যা রোয়েদাদ দেয়ার অভিযোগে সোমবার তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন।
জানাগেছে, ২০১৭ সালে তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কলারং গ্রামের গৌতম সাজ্জালের মেয়ে মিতালী রানীকে আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের বাবুল মৌয়ালির ছেলে শ্যামল মৌয়ালির সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের ছয় মাসের মাথায় স্বামী শ্যামল স্ত্রী মিতালীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন চালায়। স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর অপবাদ ও নির্যাতন সইতে না পেয়ে বাবার বাড়ী চলে যায়। এ বিষয় নিয়ে স্বামী শ্যামল মৌয়ালি পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দেয়।
ওই অভিযোগের বিষয়ে কোন শালিস ব্যবস্থা হয়নি। কিন্তু চেয়ারম্যান মিথ্যা শালিস বৈঠকের নাম করে স্ত্রী মিতালীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ এনে স্বামী শ্যালমের পক্ষে একটি রোয়েদাদ দেন।
এ মিথ্যা রোয়েদাদের কারনে মিতালী সামাজিকভাবে মান ক্ষুন্ন হয়েছে। সোমবার এ ঘটনায় মিতালী বাদী হয়ে পঁচাকোড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজির হোসেন কালু পাটোয়ারী ও ইউপি সদস্য বাবুল ভুইয়াসহ ১৩ জনের নামে আমতলী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক মনিরা পারভীন মামলাটি আমলে নিয়ে চেয়ারম্যানসহ সকল আসামীকে আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারী আদালতে উপস্থিত হয়ে কারন দর্শনোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী মিতালী রানী বলেন, শালিস ব্যবস্থা না করে ইউপি চেয়ারম্যান আমার স্বামী শ্যামলের পক্ষের লোকজনের কথায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি রোয়েদাদ দিয়েছেন। যাতে সামাজিকভাবে আমার মান যথেষ্ট ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি এর প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নজির হোসেন কালু পাটোয়ারীর সাথে মুঠোফোনে (০১৭৭৪৭৯৮৩৫১) যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।