অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় শিক্ষক-কর্মচারিদের সমাবেশ ও মানববন্ধন

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কলেজের শিক্ষক-কর্মচারিদের উদ্যোগে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কলেজের হলরুমে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ খলিলুর রহমান, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আসাদুল ইসলাম, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জীবন কুমার সাহা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রজত কুমার সাহা, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আবু সাঈদ মন্ডল, পদার্থ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আব্দুর রহিম প্রমুখ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর কলেজের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে গাইবান্ধা সরকারী কলেজের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারিরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কলেজের কিছু সংখ্যক ছাত্র কলেজের উন্নয়ন কাজে বাধাসহ টেন্ডারবাজি করে আসছিল। বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ বাধা দেয়ায় তারা অধ্যক্ষকে জড়িয়ে এসব বানোয়াট কর্মসূচি পালন করে। যা আদৌও সত্য নয়।
সাদুল্যাপুরে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আটক
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার তাঁতীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওসমান আলীকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। আজ ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরের পর পুলিশ ওই বিদ্যালয় থেকেই ওসমান আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শিক্ষক ওসমান আলী উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের ছোট ছত্রগাছা গ্রামের মৃত ছাদেক আলীর ছেলে।
থানা সুত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন থেকে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওসমান আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ তোলেন কয়েক ছাত্রী। এনিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই বিদ্যালয়ে এসে অভিভাবকরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এক পর্যায়ে এই ঘটনা নিয়ে বিদ্যালয়ে একধরণের শালিস বৈঠক বসে। এতে শিক্ষক ওসমান আলীর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেন উপস্থিত লোকজন।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে বিদ্যালয়ে হাজির হয়। এসময় পুলিশের সামনে চতুর্থ শ্রেণীর একজন এবং প ম শ্রেণীর দুইজন ছাত্রী ওই শিক্ষক ওসমান আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করে। তাদের কথা শুনে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ শিক্ষক ওসমান আলীকে থানায় নিয়ে যান।
সাদুল্যাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেওয়ান মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রাথমিক অবস্থায় শিক্ষক ওসমান আলীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ সঠিক বলে মনে হয়েছে। তাই তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজল কুমার সরকার বলেন, সংবাদ শুনেই আমি ঘটনাস্থলে একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। তিনি তদন্ত করে রিপোর্ট দিলেই অভিযুক্ত শিক্ষক ওসমান আলীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
২৬-৯-১৯
