আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
মোর তো টেকা নাই এজন্য মোর কিছুই নাই। মোর বেটি সালমা(২২) যখন ছোট তখন মোর স্বামী মারা যায়।সেই হতে দুটে বেটি নিয়ে মুই দুংখ কষ্ট করে ছোল দুটোক নিয়ে চলতিছ। মোর ছোট বেটিটে দুই ছোলের মাও হলো তাও মুই কোন কার্ড পানুনে। মোর তো বাড়ীর ভিটাও নাই তাও মুই পাওনা। আর যারা আবাদ করে ভাত খায়, জমি জমাও আছে সেগলেই চাউল পায় মুই পাওনা।
এভাবেই জানায় গাইবান্ধা জেলার পলামবাড়ী উপজেলার পৌর এলাকার আমবাড়ী গ্রামের মৃত জোব্বারের মেয়ে গোলেজা বেগম (৬০),জামালপুর গ্রামের মৃত মেহের আলী বুড়ার স্ত্রী। যাকে সদরের অনেকেই চিনে বুড়ার বৌ হিসাবে। সে বর্তমান সময়ে আমবাড়ী প্রবেশদ্বারে পাশে ব্রিজটি নিকটে ওমমিয়ার বাড়ী থাকে।
গোলেজা বেগম বলে,কতজনার কাছেই না গেনু কেউ মোক এনা কিছুই দেয়না। বেটি জামাই দুই নাতনিক নিয়ে পরের বাড়ীত খুব কষ্ট করে জীবন চালাচ্ছো। কেউ নাই হামরোক দয়া করার মতো। একটা করে বছরকার দিন ঈদ যায়। মানসে কত কি পায় আর মুই কিছু পানুনে। বিধবা হনু তখন কয় বয়স হয় নাই এখন তো মোর ৬০ বছর বয়স আরো কত বছর পর মোর কপাল জুটি এগলে ভাতার কার্ড। কেটা দেখপি গরিবের কষ্ট।
উলেখ্য,গোলেজা বেগম (৬০) সহ তার পরিবারটি অসহায় ও অতিদরিদ্র ঈদ উপলক্ষে এই পরিবারটির পাশে একটু সহায়তা করার জন্য সকলের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মানুষ।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম