3:28 AM, 13 November, 2025

অবহেলায় কেন শতবর্ষী পলাশবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বালিকা শাখা?

palashbari news

আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঝে ১৯১৩ সালে স্থাপিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গ্রাস করে পলাশবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকা শাখায় পরিণত করেছে একটি চক্র। বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
চারিদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নত না হলেও উন্নত হয়েছে অবকাঠামোর অনেক বিদ্যালয়ে কোটি টাকা খরচ করে নতুন নতুন ভবন পেয়েছে। অথচ পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গত একশতকে দাড়িয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্ত করে পলাশবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালিকা শাখায় রুপান্তিত চক্র ও বিদ্যালয়ের জমি গ্রাস করে বসে আছে পলাশবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এক সময় ছিলো এ বিদ্যালয়টিতে সদর এলাকার ছেলে মেয়েরা এখানে লেখাপড়া করতো। আর এখন একটি শাখা পরিণত। পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিখোঁজ হয়েছে।
বিদ্যালয়টি একশত বছর পেরিয়ে ১০৫ দাড়িয়েছে। রাতারাতি একটি প্রাচীন ও ইতিহাসের সাক্ষি সংয়সম্প‚র্ণ বিদ্যালয়কে শাখা বিদ্যালয়ে পরিণত করেছে বিশেষ একটি চক্র।

অবহেলায় অযন্তে ভাংঙ্গাচুরা টিনসেট সেমি পাকা, দরজা জানালার জোড়া তালিতে ভরা। বিদ্যালয়ের পুরাতন টিনসেট ক্লাস রুম গুলোর বাহিরের চালা উপরের টিন গুলো একা একা উধাও হয়েছে। এই ক্লাস রুমের জায়গায় দখল করে উচ্চ বিদ্যালয়ের পাকা বিল্ডিং করে অফিসরুম দাড়িয়েছে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম অংশে যে তিনটে ক্লাস রুম ছিলো সেখানে একটাতে পরিণত হয়েছে। এই রুমটি উপরের চালা থাকলেও নিচে খোলা অবস্থায় রয়েছে। এই খোলা অংশে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সিগারেট খাওয়ার আর প্রসাব করার স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। যেখানে নোংড়া অবস্থা পরিণত হয়ে আছে । পাশের একটি টিন সেড সেমিপাকা রুমেই কোমলমতি কয়েকজন শিক্ষার্থীকে প্রতিনিয়ত ক্লাস করতে হচ্ছে। আজ ৫ জুলাই সোমবার সকালে ডেঙ্গু মশার বিষয়ে সচেতনতা বিষয়ক লিফলেট বিতরণের কর্মস‚চীর সংবাদ সংগ্রহের সময় সাইন বোর্ডের ও বিদ্যালয়ের এ দৃশ্য চোখে পড়ে। টিনসেড ঘরটি মধ্যে যেমন রয়েছে সিগারেটের শেষ অংশ তেমনি চোখে পড়ে ফেন্সিডিলের বোতলসহ নানা আবর্জনা।
বিদ্যালয়টির এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল­াহেস শাফি অফিসার জানান,বিদ্যালয়টি এখনো চলমান রয়েছে। তবে শাখা অন্য একটি বিদ্যালয়ের শাখায় পরিণত করা বিষয়টি জেনে জানতে হবে বলে জানান।