আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
বন্যার পানি কমে গেলেও গাইবান্ধায় দুদফা ভয়াবহ বন্যায় জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ের সড়ক, ব্রীজ, কালভার্টের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্ন হয়ে পড়ায় জনগণকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের কুকড়ারহাট এলাকায় বন্যার পানির তোড়ে ৬শ’ ফুট রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় রাস্তার মাটি সরে গেছে। ফলে গাইবান্ধা জেলার সাথে সাঘাটা উপজেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। কবে বিধ্বস্ত সড়কটি মেরামত করে ওই পথে যাতায়াত ব্যবস্থা চালু তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এতে ওই এলাকার জনগণকে বিকল্প ঘুর পথে বোনারপাড়া হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কে কদমতলা সংলগ্ন সড়কের ব্রীজটির পশ্চিম অংশ বন্যার পানির তোড়ে দেবে গেছে। ফলে ওই সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পথচারী ও হালকা যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তিন সপ্তাহ যাবত জলমগ্ন হয়ে থাকায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তদুপরি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশ প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলো বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও মেরামত না করায় এ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়নি। এছাড়া নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে তিনটি প্রাথমিক ও একটি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে না পেরে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে।
বন্যায় এ পর্যন্ত জেলার ৫শ’ ৯৩ কি.মি. কাঁচা রাস্তা এবং ২শ’ ৬৬ কি.মি. পাকা রাস্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৩৯টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, গাইবান্ধায় সাত উপজেলার ৩৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পাঠদান বন্ধ থাকা এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০৯টি বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
গাইবান্ধা প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চারটি কলেজ রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অধিকাংশই জেলার দুর্গম চরে অবস্থিত।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম