3:46 PM, 13 November, 2025

যে ৫ কোম্পানির দুধে অ্যান্টিবায়োটিক

untitled-1_4892

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ৫ কোম্পানির প্যাকেটজাত ‍দুধসহ ১০ ধরনের দুধের নমুনায় ফের অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার। দুধের ১০টি নমুনার ১০টিতেই অ্যান্টিবায়োটিক মিলেছে।

বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার মিল্কভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, প্রাণ, ইগলু, ইগলু চকোলেট এবং ইগলু ম্যাংগো দুধের নমুনার ওপর গবেষণা চালায়। এর মধ্যে তিনপ্রকার দুধে চার ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, ছয়টিতে তিন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ও একটিতে দুই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে। এছাড়া রাজধানীর পলাশী, গাবতলী ও মোহাম্মদপুর বাজার থেকে সংগ্রহ করা খোলা দুধেও অ্যান্টিবায়োটিক শনাক্ত করা গেছে।

দুধের পাওয়া অ্যান্টিবায়োটিকগুলো হলো অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লিভোফ্লক্সাসিন। এর মধ্যে আগের পরীক্ষায় অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন ছিল না। এবার ওই দুই ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি নতুন করে মিলেছে।

এ বিষয়ে ঢাবির বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক ১৩ জুলাই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমরা এ পরীক্ষাটি আবার সম্পন্ন করেছি। প্রথমবারের মতো এবারও আগের ৫টি কোম্পানির পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের একই জায়গা থেকে সংগৃহীত ৭টি নমুনা এবং একই জায়গা থেকে খোলা দুধের সংগৃহীত ৩টি নমুনা সংগ্রহ করি। এরপর অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য একই নিয়মে একই উন্নত ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার পর দেখা যায়, ফলাফল আগের মতোই উদ্বেগজনক। এবারও সবগুলো নমুনাতেই অ্যান্টিবায়োটিক শনাক্ত করা গেছে।

গত ২৫ জুন সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি মানবদেহে কী প্রভাব ফেলবে জানতে চাইলে আ ব ম ফারুক বলেছিলেন, বিভিন্ন সময় আমরা বলে থাকি, অ্যান্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করছে না বা অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। তো কাজ করছে না এসব কারণে। কারণ শরীরের মধ্যে অলরেডি অ্যান্টিবায়োটিক ঢুকে আছে। এ কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ আমরা যখন খাই তখন আর কাজ করে না।’