শ্রীমঙ্গলে ৮ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় মারা গেলো বিভিন্ন পোল্ট্রি ফার্মের ১২ হাজার মুরগী

মো: আব্দুর রহিম, মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গলে মঙ্গলবার বিদ্যুৎ না থাকায় একদিনেই সারা উপজেলায় ১২ হাজারের অধীক ব্রয়লার মুরগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।মঙ্গলবার উপজেলায় সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ এর লাইন জরুরী মেরামতের জন্য কোথায়ও বিদ্যুৎ ছিলনা। একদিকে প্রচন্ড তাপদাহ ও বিদ্যুৎ না থাকায় হিট স্টোকে এত বিশাল ব্রয়লার মুরগীর প্রাণহানী হয় বলে খামারীরা জানান।
শ্রীমঙ্গল পোল্ট্রি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন জানান, “বিদ্যুৎ না থাকার জন্য ব্রয়লার মুরগীর মৃত্যুতে তাদের ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেন” তারা আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন করে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে প্রতিটি খামারে অধীক বিলের শিল্প মিটার স্থাপন করে উচ্চ হারে তারা বিল নিচ্ছে ঠিকই কিন্তু তাদের এই বিশাল ক্ষতির দায়ভার কেন নেবেনা? তারা পরামর্শ দেন আগামীতে রাতের বেলায় মেরামতের কাজ সম্পাদন করা যায় কিনা ভেবে দেখতে বলেন।তারা আরও জানান,ব্রয়লার মোরগের বাজার দর এমনিতেই নিম্নমুখী এবং ব্যাংক ঋণ সহ তারা দেউলিয়া হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই!
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর উপজেলার সিরাজনগর গ্রামে বিসমিল্লাহ পোল্ট্রি ফার্ম পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম। এব্যাপারে তিনি জানান,তাদের এ বিপুল ক্ষতিতে নূন্যতম কোন সহযোগিতা করা যায় কিনা আমি ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা করব”এবং তিনি ওই সময়ে পোল্ট্রি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন কে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ে এব্যাপারে আবেদনের পরামর্শ দেন।
এব্যারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শ্রীমঙ্গলস্থ সদর দপ্তরের জেনারেল ম্যানেজার শিবু লাল তাদের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তরে জানান, “২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ দিব এমন কোন চুক্তি নেই তাদের সাথে, যে কোন বিপর্যয় হতে পারে। তারা ক্ষয়ক্ষতি এরাতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে জেনারেটর এর ব্যবস্থা করতে পারেন”।
