8:25 AM, 13 November, 2025

আড়ংয়ে অভিযান চালানো সেই কর্মকর্তাকে বদলি

aarong-uttara_0

নিউজ ডেস্কঃ আড়ং এ অভিযান চালানো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মো. শাহরিয়ারকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর খুলনা জোনে বদলি করা হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় আড়ং এর শোরুমে সোমবার (৩ জুন) অভিযান পরিচালনার পরপরই তাকে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

উপসচিব মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপসচিব পদমর্যাদায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয় ঢাকার উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা হিসেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, খুলনা জোনে ন্যস্ত করা হলো। আগামী ১৩ ‍জুন তাকে বদলি করা কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা যেতে পারে। নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিলে ১৩ জুন বিকেলে তিনি বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হবেন।

এর আগে সোমবার রাজধানীর উত্তরায় আড়ং শোরুমকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি একদিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।

মূলত ৭০০ টাকার পাঞ্জাবি ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করায় এ জরিমানা করা হয়।

অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।

মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, গত ২৫ মে এক ক্রেতা উত্তরা আড়ং থেকে একটি পাঞ্জাবি কেনেন ৭১৩ টাকায়। একই পাঞ্জাবি ৩১ মে কিনতে গেলে দাম রাখা হয় ১ হাজার ৩১৫ টাকা। অধিদফতরে এমন অভিযোগ করেন এক ভোক্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ উত্তরা আড়ংয়ে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পায় অধিদফতর। আড়ং অভিনব কায়দায় বেশি দাম লিখে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে।  ছয়দিনে একটি পাঞ্জাবির দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা। যার কোনো কারণ জানাতে পারেনি আড়ংয়ের শোরুমের কর্মকর্তারা।

তিনি আরো বলেন, আড়ং একটি ব্র্যান্ড। দেশি ভালো পণ্য বিক্রি করে বলে তাদের প্রতি ক্রেতাদের রয়েছে আস্থা ও সরল বিশ্বাস। এটি পুঁজি করে কৌশলে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে, যা ভোক্তা আইনপরিপন্থী। এ অপরাধে তাদের সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অধিদপ্তরে ডাকা হয়েছে। তারা যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।