পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আর কতদিন বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হতে হবে? কবে হবে করতোয়া নদীর শাখা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ধলাগারা নদীর ওপর ডেঙ্গাপাড়া টু ধলাগাড়া বাঁধপাড়া সংযোগ সেতু/ব্রীজ নির্মাণ?
আধুনিক যুগের সড়ক মহাসড়কের সুবিধা বঞ্চিত এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এখন এমন কথা। এখানে একটি সেতু না থাকায় কয়েক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নানা ধরনের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। যদি এবং স্থানীয় এলাকাবাসী এ নদীর ওপর নিজেরাই বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে তারা।
বছরের পর বছর গ্রামের মানুষ নিজেদের অর্থে ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সাঁকোটি তৈরি ব্যয় বহনসহ রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রুপসী, জোকা, বানিয়া বৌ, জোকা বাধপাড়া অপরদিকে পার্শ্ববর্তী উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের বৃহত্তর সমাজ হান্ডিয়াল, ছাইকোলা, নওগাঁ ইউনিয়নের প্রায় গ্রামের মানুষ অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদে, ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদর কিংবা জেলা সদরে যাতায়াতে ধলাগার নদীর ওপর বাঁশের তৈরি প্রায় ৩শ ফুট দীর্ঘ সরু এক মাত্র সাঁকো ব্যবহার করে করছেন।
অপরদিকে অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ডেঙ্গাপাড়া মোড় হতে ধলাগাড়া হয়ে জোকা, বানিয়া বৌ হয়ে সমাজ অভিমুখে রাস্তার নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অপরদিকে ডেঙ্গাপাড়া মোড় হতে ধলাগাড়া, জোকা, বানিয়া বৌ হয়ে সমাজ অভিমুখে রাস্তা উন্নয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। তাই এই রাস্তার করতোয়া নদীর শাখা নদী ধলাগাড়া নামক স্থানে একটি সেতু নির্মাণের জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ধলাগারার উত্তর পাড়ে গদাই রুপসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক একাত্তর পোস্টকে জানাই, এ নদীতে বারো মাসই পানি থাকে। জন্ম থেকেই কয়েক গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছেন। এই বাঁশের সাঁকো পার হয়েই ইউনিয়ন সদর, উপজেলা সদর, জেলা সদরে যাতায়াত করছে। আর কতকাল বাঁশের সাঁকোয় পারাপার হতে হবে কে জানে? কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেবেন কি? ব্যবস্থা নিবেন কি? এমন আহাজারির প্রকাশ করেন তিনি।
জোকা গ্রামের সত্তরঊর্ধ্ব বছর বয়সি ময়লাল খান বলেন, অনেক কষ্ট করে অসুস্থ শরীর নিয়ে পার হতে হয় এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে। বাঁশের সাঁকো পার হতে খুবই ভয় লাগে। আমি কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি আমার মৃত্যুর আগে যেন এই বাঁশের সাঁকোটি সরিয়ে ব্রিজ নির্মাণ হয়। তাহলে কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতেন। আমি আশা করছি কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করবেন।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম