নবাবগঞ্জে ৩টি বালিকা এতিমখানায় ২শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষা গ্রহণ

এম এ সাজেদুল ইসলাম (সাগর), নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্ত ৩টি এতিমখানায় ২শতাধিক বালিকা অবস্থান সহ শিক্ষা অর্জন করছে। এর কারণে সমাজের হতদরিদ্র পরিবারের এতিম শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব স্থানে বালকের পাশাপাশি পৃথক ভাবে ৩টি এতিম খানায় আবাসিক অবস্থান করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা অর্জন করে খুঁজে পেয়েছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। নবাবগঞ্জ উপজেলার ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের হলাইজানা মাজিদিয়া বালিকা হাফিজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় শিক্ষা অনুরাগী ও ধর্মীয় অনুসারী মানুষের সহায়তায় গড়ে তোলা হয়েছে বালিকা এতিমখানা। এলাকার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের অসহায় এতিম অনাথ বালিকারা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকে মানুষের বাড়িতে এবং বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরায় শিশু শ্রমের কাজ করত। সে সমস্ত বালিকাদের খুঁজে এনে সরকারি অর্থায়নে আবাসিক অবস্থান করে ধর্মীয় শিক্ষা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে। সম্প্রতি ২০২২ইং সালে মাদ্রাসার আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। এদিকে উপজেলা সদরে মাইশাতুল জান্নাত নামের একটি বালিকা এতিমখানা হাফিজিয়া মাদ্রসা পরিচালিত হয়ে আসছে। ওই এতিমখানার পরিচালক হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ জানান, নারী শিক্ষার্থীরা যখন আবাসিক প্রতিষ্ঠান পায়না ঠিক সেসময় উপজেলা সদরে বালিকাদের শিক্ষার জন্য উপজেলা পরিষদের পশ্চিম পার্শে আবাসিক এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সাবেক বিনোদনগর ইউপি চেয়াম্যান মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বালকদের এতিমখানা রয়েছে। কিন্তু বালিকাদের না থাকায় পৃথক ভাবে এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে পূর্ব ফতেপুরে গড়ে তোলা হয়েছে বালিকা এতিমখানা। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নবাবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শুভ্র প্রকাশ চক্রবর্তী জানান, ৩টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২শ জন নিবাসীর প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা সরকারি ভাবে বরাদ্দ পেয়ে থাকেন। প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তিনি পরিদর্শন সহ দেখভাল করে থাকেন। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান জানান, নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। তিনি আরও জানান, প্রতি বছর সরকারি ভাবে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগীতা ও শীতকালে কম্বল বিতরণ করা হয়।

Can you be more specific about the content of your article? After reading it, I still have some doubts. Hope you can help me.