নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নদীতে নেমে মাছ ধরছে পুরুষ,নারী-শিশু সকলেই। ঢাকার বুকে এ যেন এক ছোট্ট গ্রাম। কিছু সময়ের জন্য বিআইডাব্লিউটিএ’র নদী দখলের উচ্ছেদ অভিযান বদলে মাছ ধরার উৎসবে পরিনত হয়। অব্যাহত উচ্ছেদ অভিযানের ২৩তম দিনে তুরাগ নদের তীরে মাছ ধরার এ চিত্র দেখা যায় ।
তুরাগের লাগোয়া একটি খাল দখল করে নদ ও খালের মাঝখানে বাঁধ নির্মাণ করেছিল দখলদারেরা মাছের চাষ করেছিল। উচ্ছেদকালে সেই বাঁধ ভেঙে দিলে খালের পানি গড়িয়ে আসে নদীতে। এরসময় খালের পানি কমতে থাকলে খালে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দেখা যায় । সেই মাছ গুলোও পানির সাথে ভেসে নদীতে চলে যাচ্ছে। আর এ ঘটনা দেখে মাছ ধরতে নেমে পড়েন নদের দু’পাশের মানুষজন। মুহূর্তের মধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান পরিনত হয় মাছ ধরার উৎসবে।
সেখানে উপস্থিত লোকজন জানান, খালের পানি কমে যাওয়ার ফলে মাছগুলো লাফালাফি শুরু করে, তখন পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছিল গ্রামের কোনো পুকুরে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা বা উৎসব চলছে। এই উৎসবে যোগ দেয় নদের দু‘পাড়ের শত শত মানুষ। এর থেকে বাদ যায়নি নারী ও শিশুরা।
তুরাগ নদ দখলমুক্ত করতে বিআইডাব্লিউটিএ’র বুধবার এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সাভারের কাউন্দিয়ার কুমারপাড়া এলাকায়।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন উচ্ছেদ জানান, অভিযানের দ্বিতীয় পর্বের চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় দিনে খাল উদ্ধারসহ মোট ২৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি তিনতলা পাকা ভবন, চারটি দোতলা, ১২টি একতলা ভবন উচ্ছেদ করা করা হয়। এছাড়া সাতটি আধা পাকা ও পাঁচটি টিনের ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রায় এক একর নদীর জায়গা দখলমুক্ত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ সময় বিআইডাব্লিটিএ পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় পর্বের শেষ দিনে মিরপুর বেরিবাঁধের সিন্নিরটেক এলাকা হতে আপষ্ট্রীমে তুরাগের উভয় পাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সংস্থাটির তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিচালিত অভিযানের পর তীরভূমি সংস্থার করে দশ হাজার সীমানা পিলার স্থাপনের কথা রয়েছে। এরপর নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য নদীতে ড্রেজিং করা হবে।
একই সাথে নদী তীরভূমি অংশকে সংরক্ষণ এবং ঢাকাবাসীর জন্য নদীকে বিনোদনের জায়গা হিসেবে পরিচিত করতে ৮৫০ কোটি টাকার ব্যয়ের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নদীর পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন, লাইটিং এবং ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের কথা রয়েছে।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম