উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে প্যানেলে নিয়োগের দাবীতে মানববন্ধন করেছে ডিপ্লোামা কৃষিবিদ
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর পঞ্চগড় জেলা শাখার সদস্যরা। ৩০টি জেলায় একযোগে কর্মসূচী
পালনের অংশ হিসেবে বুধবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে
পঞ্চগড়-তেতুঁলিয়াম মহাসড়কের আধঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় এসোসিয়েশনের পঞ্চগড় শাখার ত্রিশ জন কৃষি ডিপ্লোমাধারী পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। মানববন্ধনে
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা শাখার সভাপতি আহসান হাবীব। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানায় ২০১৮
সালের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে নিয়োগে কোন জেলা কোটা অনুসরন করেনি কতৃপক্ষ। কারন
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৫০ টি জেলার ২৮ হাজারেরও বেশি ডিপ্লোমাধারী অংশ নিয়ে ১০ হাজার ৩৯জন
পরীক্ষার্থী উত্তীর্ন হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখে অনুষ্টিত লিখিত পরীক্ষায় ৫
হাজার ১শত ১৪জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ন হয়। এরপর ২৮ দিন ধরে মৌখিক পরীক্ষা চলে । পরে মৌখিক
পরীক্ষার দুইদিন পর গত ১৭ জানুয়ারী শুক্রবার প্রাথমিকভাবে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ন
পরীক্ষার্থীদের ১৬৫০ জনের রোল নাম্বার প্রকাশ করে। ডিপ্লোমাধারীদের দাবী সেই ফলাফলে কোন জেলা
কোটা মানা হয়নি। তথাকথিত কিছু জেলা থেকে অধিক হারে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। জনপ্রশাসন
মন্ত্রনালয়ের পরিপত্রের উদৃতি দিয়ে তারা বলেন যেখানে ব্রাষ্মনবাড়িয়া জেলায় জেলা কোটায় ৩৩জন
নিয়োগ পাওয়ার কথা তার বিপরীতে সেই জেলা থেকে ৫২জন নিয়োগ পেয়েছে। রংপুর জেলায় ৩৪জন নিয়োগ
পাওয়ার কথা থাকলেও সেখানে মাত্র ২জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে নিয়োগ বঞ্চিত মেধাবী
ডিপ্লোমাধারীরা একত্র হয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারীতে উচ্চ আদালতে রিট করলে হাইকোর্ট কৃষি সম্প্রসারন
অধিদপ্তরকে বেশ কিছু রুল জারি করে নিয়োগ কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। কিন্তু কৃষি সম্প্রসারন
অধিদপ্তর রুলের জবাব না দিয়ে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন। সুপ্রীম কোর্টের আপিল
বিভাগে প্রধান বিচারপতি সহ সাতজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ চলতি বছরের ১২ মার্চ তারিখে
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের রুলের জবাব দিতে এবং মামলা দ্রুত
নিষ্পত্তির আদেশ দেয়। মানববন্ধনে বক্তাদের দাবী আজও পর্যন্ত ঐ রুলের জবাব আদালতে দাখিল
করেনি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। তাদের দাবী রুলের জবাব না দিয়ে কেন তারা মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল
ঘোষনা করবে? কারন সেই নিয়োগের উপর উচ্চ আদালতের স্থগীতাদেশ রয়েছে। এসোসিয়েশনের পঞ্চগড়
শাখার সদস্য সচিব নাজির হোসেন বলেন কিছু কিছু জেলায় কোন প্রার্থীই নিয়োগ পাননি। আবার কিছু
জেলায় একাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন
হয়েছে।
মমতা বেগম মৌরি নামে কৃষি ডিপ্লোমাধারী তার বক্তব্যে বলেন, বৈষম্যের শিকার হয়ে ইতিমধ্যে একজন
চাকরী প্রার্থী আত্মহত্যা করেছেন। অনেকে চরম হতাশায় ভুগছেন। তারা সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাসের
কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষি খাতকে সরকারের গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তাদের ৩
হাজার ৪৬৪ জনকে প্যানেল করে নিয়োগ দেয়ার জোর দাবি জানান মানববন্ধনে বক্তারা। পরে জেলা
প্রশাসক পঞ্চগড় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে কৃষি ডিপ্লোমাধারীরা।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম