3:28 AM, 13 November, 2025

পীরগঞ্জে আখিরা নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মহাযজ্ঞ

IMG_20200429_173036

আখিরা নদী একদিকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে চলছে খননকাজ তেমনি খননকাজ শেষ হতে না হতেই নদীর পেট হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র এ চক্রের মুলহোতা পীরগঞ্জের শরীফ হাজ্বী যিনি অত্র এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা হিসাবে ব্যাপক পরিচিত। এই ব্যক্তি নদী পিটে কিছু জমি কিনে নিয়ে ক্ষমতার জোড়ে সংশ্লিষ্টদের উপর হতে নিচ পর্যন্ত ম্যানেজ করে নদীর পেট হতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে। তাদের বালু উত্তোলনের মহাযজ্ঞ দেখে আরো কয়েকজন ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিদ্দারচ্ছে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এসব প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবানদের কিছু বলতে না পেরে স্থানীয়রা  নদী পাড়ের জমি বিক্রির জন্য তাদের পিছে পিছে ঘুড়তে শুরু করেছে। বালু উত্তোলন স্থলে থাকা শ্রমিকরা জানায় সকলকে ম্যানেজ করে পীরগঞ্জের সেলিম হাজ্বী এসব বালু উত্তোলন করছে।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের আখিরা নদী ঢাকা রংপুর মহাসড়কের মাঝে গোসাইজানি অংশের একটু অদুরে আবাদি জমি ঘেরা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের পাশে নদীর পেট হতে সারি সারি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে পাহাড় সমান টিলা গড়ে তুলেছে বালু খোকো চক্রটি। এসব বালু উত্তোলনের ফলে নদীপাড়ের বসতবাড়ী ও আবাদী জমি গুলো যেমন ক্ষতির মুখে পড়বে তেমনি বন্যার নিয়ন্ত্রন বাধ থাকবে হুমকির মুখে। আর যদি বালু মহল হিসাবে ধরা হয় তাহলে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। যেহেতু বালু মহল করার মতো স্থান নয় কারণ এ নদী পিটের সকল জমি আবাদী । আবাদী জমি স্থলে ভূমি ও নদী  আইনে বালু মহল প্রযোয্য নয়। আখিড়া নদীর রক্ষায় ও নদীর নব্যতা দুর করতে নদী খননে সরকারের যে প্রচেষ্টা তা ব্যার্থ হয়ে যাবে। এ নদীর ২ গজের মধ্যে ৩ টি ড্রেজার দিয়ে রাত দিন একাকার করে বালু উত্তোলন করছে সেলিম হাজ্বী ,জুয়েল ও পলাশ।

এসব বালু উত্তোলন কার্যক্রমের মূলহোতা শরীফ হাজ্বী বালু উত্তোলনের সাথে সে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং বলেন তিনি এখন ঢাকায় আছেন এসে তিনি এ প্রতিবেদকের সাথে দেখা করবেন।

এবিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার টি এম এ মমিন জানান,নদীতে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানা নাই তবে কেউ যদি অভিযোগ দেন তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান জানান,আখিরা নদীতে পীরগঞ্জে কোথাও কোন বালু মহল নেই । আখিরা নদী হতে খননকালীন সময়ে কেউ যদি বালু উত্তোলন করে সেটা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তিনি আরো বলেন এ বিষয়টি নিয়ে  উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে রংপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আসিব আহসান জানান,অত্র এলাকার ওসি ও ইউএনও বিষয়টি জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন হলো ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আখিরা নদীতে বালু উত্তোলন করছে চক্রটি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি সকলের জানা থাকলেও  এ চক্রটির বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারণের প্রশাসনের পক্ষ হতে কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে জানায় স্থানীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *