
কিছুদিন আগে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়ে বটতলা বাজারে নিজে টাকা দিয়া মাস্ক, সাবান, স্প্রে বিতরণ করে। সেই আজ সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। শুধু রেখে গেছে কিছু স্মৃতি। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে সুমন আকন্দ (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুর একটার দিকে উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের নামাপুটিয়া গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে তার মৃত্যু হয়।
সুমন আকন্দ উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের নামাপুটিয়া গ্রামের আবুল হাসিম আকন্দের ছেলে। সে একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিল। এছাড়াও সে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিল। মারা যাওয়ার পর করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় ওই পরিবারের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং পুরো গ্রামটিকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় সূত্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকায় সুমন আকন্দ নামের ওই যুবককে এক সপ্তাহ আগে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু সে হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে বাইরে ঘোরাফেরা করতে থাকে।
আজ দুপুরে পাশ্বর্বর্তী কটিয়াদী থেকে ফেরার পথে বাড়ির সামনে এসে মারা যায় সে। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায় এবং নমুনা সংগ্রহ করে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামটিকে লকডাউনের ঘোষণা দেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জমির মো. হাসিবুস ছাত্তার বলেন, আমরা এক সপ্তাহ আগে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনের পরামর্শ দেই। কিন্তু সে না মেনে বাইরে ঘোরাফেরা করে। আমরা তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠাচ্ছি। রিপোর্ট পেলে সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় নামাপুটিয়া গ্রামটিকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
সম্পাদক: শামীম আহমেদ, নির্বাহী সম্পাদক: এস এম মিজানুর রহমান মামুন, প্রকাশক: রাজন আকন্দ
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দেশেরবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম